ভোটের পরেই নবজোয়ার-২, ধূপগুড়ির প্রচার সভায় জনজোয়ারে ভেসে ঘোষণা অভিষেকের

জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়িতে জুনের শেষে আবার আসব। এখানে এসে আপনাদের একটা ফোন নম্বর দিয়ে যাব

লোকসভা নির্বাচনের প্রচার মঞ্চেই ধূপগুড়ি বিধানসভার প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বড় ঘোষণা তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নবজোয়ার যাত্রার মধ্যে দিয়ে যেভাবে রাজ্যের পঞ্চায়েতে প্রার্থী নির্বাচন করেছিল তৃণমূল, এমনকি গত বছর সেপ্টেম্বরে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণাও নবজোয়ার-এর মধ্যে দিয়ে করা হয়েছিল। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে সেই উপনির্বাচন থেকে বিধায়ক নির্বাচিত নির্মলচন্দ্র রায়কে লোকসভায় প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তিনি জিতলে ধূপগুড়িতে ফের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ঠিক করতে আবারও নবজোয়ার যাত্রা করবেন বলে জলপাইগুড়ি লোকসভার প্রচার সভা থেকে ঘোষণা অভিষেকের। উপনির্বাচনে যে জনসমর্থন ধূপগুড়ির মানুষ তৃণমূলকে দিয়েছিলেন, তারই প্রতিফলন শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে দেখা যায়। লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূলের প্রচারসভায় জনজোয়ার দিল্লিতে বিজেপির ভয়ের কারণ বলে দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুক্রবার ধূপগুড়ির সভা থেকে অভিষেক বলেন, “আমাকে এখান থেকে অনেক লোক চিঠি লিখে পাঠিয়েছে, মেসেজ করেছে দাদা এই তো নির্মলদা বিধায়ক হল। এত ভালো বিধায়ক, ইনি যদি সাংসদ হয় তাহলে তো আমরা একজন ভালো বিধায়ক হারাবো। তাহলে বিধায়ক কে হবে? আমি আপনাদের বলছি, মন দিয়ে শুনুন ২০২৩ সালে পঞ্চায়েতের সময় যেমন নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছিলাম, এই বছরও আপনাদের মতামত আবার নেওয়া শুরু করব। জুনের ৪ তারিখ রেজাল্ট বেরোবে। জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়িতে জুনের শেষে আবার আসব। এখানে এসে আপনাদের একটা ফোন নম্বর দিয়ে যাব। আপনারা সেই ফোন নম্বরে সরাসরি জানাবেন কাকে আপনারা বিধানসভায় বিধায়ক হিসাবে দেখতে চান, আমার তাকেই মনোনিত করে আগামী দিন ধূপগুড়ি থেকে জেতাবো।”

ধূপগুড়ি বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ধূপগুড়ি পুরসভা নির্বাচন নিয়েও একইভাবে জনজোয়ারের মাধ্যমে বাসিন্দাদের মতামত নেওয়া ঘোষণাও করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে তিনি ঘোষণা করেন, “জুন মাসের শেষ থেকে যেভাবে নবজোয়ারের মাধ্যমে আমি মানুষের কাছে ড্রপবক্স নিয়ে গেছি যে আপনি আপনার মতামত দিন কাকে প্রার্থী করবেন, একইভাবে আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের চার থেকে পাঁচটা জায়গায় ড্রপবক্স রাখব। আপনি যাকে কাউন্সিলর হিসাবে দেখতে চান তৃণমূল কংগ্রেস তাকেই কাইন্সিলর করবে। যদি কেউ ভাবে আমি ওয়ার্ডে জিতেছি বলে আমি কাউন্সিলর। না। তোমার জনপ্রিয়তা কতটা, কর্মদক্ষতা কতটা সেটা মানুষ ঠিক করবে।”

শুক্রবারের নির্বাচনী প্রচারে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সংখ্যায় উপস্থিতি কার্যত সমুদ্রে পরিণত করে ধূপগুড়িকে। বহু মানুষ মাঠ পর্যন্ত পৌঁছাতেও পারেননি। প্রবল গরম উপেক্ষা করে নির্বাচনী সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বেলা দেড়টা-দুটো থেকে মানুষ জমায়েত করেন। অনেকেই চার-পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। উপস্থিত জনজোয়ারকে উদ্দেশ্য করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আসার সময় উপর থেকে দেখছিলাম যতদূর চোখ যায় খালি মাথা আর মাথা। আজকের এই সুবিশাল সভা প্রমাণ করে দিচ্ছে জলপাইগুড়ির মাটি জুমলাবাজদের মাটি নয়। মা মাটি মানুষের মাটি। আজকে সভা দেখার পরে দিল্লিতে ভূমিকম্প হয়েছে।”

 

Previous articleদূর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর অনুমতি কেন দিল না কমিশন? প্রশ্ন শশী পাঁজার
Next article“গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হোন”, রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মানুষকে আবেদন বহুরূপী ‘গোলাপসুন্দরী’র!