ভোটের মুখে আচমকাই শোকজ! মথুরাপুরের ওসিকে দ্রুত বক্তব্য জানানোর নির্দেশ হাই কোর্টের

লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে নিজেদের পায়ের তলার মাটি হারিয়ে একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে (Central Investigative Agency) দিয়ে বিরোধীদের গায়ের জোরে হেনস্থা করা হচ্ছে, ঠিক তেমনই ভোট এগিয়ে আসতেই একের পর এক মনগড়া অভিযোগ করে পুলিশ (Police), প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতা কর্মীরা। আর তার জেরেই মিথ্যা মামলা দায়ের হলেও পরে শুনানি শেষে দেখা যাচ্ছে সেই মামলার কোনও অস্তিত্বই নেই। তবে লাগাতার মিথ্যা মামলা করায় ভোটের মুখে বিরোধীদের হেনস্থা করতেই কেন্দ্রের দেখানো পথে পা বাড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপিও (BJP)। এবার বিজেপি প্রার্থীর মনগড়া অভিযোগের ভিত্তিতেই ওসিকে (OC) শোকজের (Show Cause) নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের  (Calcutta High Court)। আদালত এদিন সাফ জানিয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মথুরাপুরের (Mathurapur) ওসি নিজের বক্তব্য জানাতে হবে। একইসঙ্গে কোনও ভাবে অভিযোগকারীর নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সুন্দরবন জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে মথুরাপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বাপি হালদার এবং তাঁর স্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শিলি হালদারের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতে কারচুপির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন স্থানীয় বিজেপি নেতা অনুপকুমার মিস্ত্রি। এরপরই মামলাকারীর অভিযোগ, কারচুপির অভিযোগ উঠলেও দীর্ঘ এক মাস কেটে গেলেও দায়ের হয়নি এফআইআর। আর তারপর বিজেপি নেতার অভিযোগ পেয়েই শুক্রবার মথুরাপুর থানার ওসিকে শোকজ করেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এদিন আদালত প্রশ্ন করে অভিযোগ পাওয়ার পর দীর্ঘ এক মাস কেটে গেলেও কেন তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল না? এরপরই মথুরাপুর থানার ওসিকে শোকজ করেন বিচারপতি। তবে বিজেপির ‘অতিতৎপরতা’কে কাঠগড়ায় তুলে এদিনের শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। বিষয়টি বিডিও দেখছেন। তারপরও এভাবে কীভাবে মামলা করা যায় তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, গত ৭ মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের বর্তমান বিজেপি প্রধান অনুপ মিস্ত্রি এই নিয়ে মথুরাপুর থানায় অভিযোগ এই প্রেক্ষিতেই সিবিআই এবং ইডি তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন অনুপ। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের।