এবার বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ নিয়ে সরব হল অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ ডক্টরস সেল এবং শিক্ষা সেল। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয় , যেভাবে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়িকে অপমানিত করছেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, তার পরিণতি তার নিজেরও জানা নেই।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০১৫ সালে মমতাবালা ঠাকুর যখন উপ নির্বাচনে জয়ী হয়ে লোকসভায় গিয়েছিলেন তখন শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর, শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে শপথ করেই তিনি সাংসদ পদ গ্রহণ করেন। তার প্রশ্ন, কি এমন ঘটে গেল ২০২৪-এ যে শপথ বাক্য পাঠ করার আগে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নেওয়ায় শপথ বন্ধ রাখা হলো? আর যিনি এটি করলেন তিনি রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল বাংলা তথা বাঙালি বিদ্বেষী উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়।

মতুয়া মহাসংঘ ডক্টরস সেলের জয়েন্ট সেক্রেটারি বলেন, শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে কোনও মতুয়ারা নেই। বহিরাগতদের নিয়ে এসে সেখানে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়াচ্ছেন, ভয় দেখাচ্ছেন। সিআরপিএফ জওয়ানরা জুতো পড়ে ঠাকুরের ঘরে ঢুকে পড়ছে। তার অভিযোগ, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের যে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সেই একই নামে বন্ধন ব্যাংকে একটি একাউন্ট খোলা হয়েছে। ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা ওই একাউন্টে জমা করেছেন শান্তনু ঠাকুর। কোথা থেকে এলে ওই টাকা, এই টাকার উৎস কি? তার আরও অভিযোগ, এইমসে চাকরি দেওয়ার নামে যে টাকা তোলা হয়েছে সেই টাকাই ব্যাঙ্কে জমা রাখা হয়েছে।

মতুয়ারা নারীদের শিক্ষিত করে তুলতে চায় উচ্চ আসনে বসাতে চায়। সে কথাই বলে গেছেন ঠাকুর। সেই পথেই আমরা চলি। অথচ শান্তনু ঠাকুর তার বাড়ির বৌমাকে অপমান করছেন। এ জিনিস চলতে পারে না। নারীদের সমান অধিকার, আর সেই অধিকারকে প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন হরিচাঁদ ঠাকুর গুরুচাঁদ ঠাকুর।
মতুয়া মহাসঙ্ঘের অভিযোগ, বিজেপি সিএএ লাগু করছে রাত বারোটার পর। শান্তনু ঠাকুর বড়মার ঘর দখল করছেন রাত বারোটার পর ।এগুলো মতুয়াপন্থীর বিরোধী। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের মূল ধারা হচ্ছে মাতৃ শক্তি, নারী শক্তি। তাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর । তার বিরুদ্ধে মতুয়ারা কিন্তু একজোট হয়েছে।

আরও পড়ুন- ফের নতুন প্রতারণার ছক রাজ্যে! গ্যাসের বকেয়া ভর্তুকির নামে চলছে লুঠ
