৩ শতাংশ রাজনৈতিক অভিযুক্ত: বিরোধীদের তো.পের মুখে মোদির ED-সাফাই

প্রকাশ্যে সাফাই দেওয়ার তৎপরতা স্বয়ং নরেন্দ্র মোদির। তাঁর দাবি, ইডি-র তত্ত্বাবধানে থাকা দুর্নীতি মামলায় ৩ শতাংশ মানুষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত

কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগে গোটা দেশে একজোট বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কীভাবে কেন্দ্রের তিন এজেন্সি বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের রীতিমত টার্গেট করে গ্রেফতার করা হচ্ছে, সেই সব তথ্য যখন প্রকাশ্যে তুলে ধরা হচ্ছে তখনই এজেন্সি (Agency) সাফাই দিতে মঞ্চে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর দাবি দেশের মাত্র ৩ শতাংশ রাজনৈতিক ব্যক্তি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর মামলায় অভিযুক্ত। বাকি ৯৭ শতাংশ সাধারণ অপরাধী বা আধিকারিক। যদিও বিরোধী রাজ্যগুলিতে রাজনৈতিক নেতা থেকে মুখ্যমন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিশানায় বিশেষত নির্বাচনের আগে।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal), দক্ষিণে বিআরএস বিধায়ক কে কবিতার (K Kavitha) মতো শীর্ষ স্থানীয় নেতার গ্রেফতারিকে বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি (central agency) দিয়ে বিজেপির দমননীতির কালো অধ্যায় বলে দাবি করা হয়েছে। বাংলাতেও রাজ্যের মন্ত্রীরদের গ্রেফতারি ও লাগাতার তাঁদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, বিশেষত ইডি-র হানা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়েছে। ইডি-র নিয়ন্ত্রনাধীন সব মামলাতেই কোনও না কোনওভাবে তৃণমূলের নেতা থেকে সাধারণ কর্মীদের গ্রেফতারিও লাগাতার চলছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা কীভাবে বিজেপির ষড়যন্ত্রে সম্ভব হচ্ছে তা প্রমাণ সহ নির্বাচন কমিশনে তুলে ধরেছে তৃণমূল। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ইডি-র আধিকারিক ধনরাম সিং-কে।

এরপরই প্রকাশ্যে সাফাই দেওয়ার তৎপরতা স্বয়ং নরেন্দ্র মোদির। তাঁর দাবি, ইডি-র তত্ত্বাবধানে থাকা দুর্নীতি মামলায় ৩ শতাংশ মানুষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। একদিকে যখন বাংলা সহ বিজেপি বিরোধী দল শাসিত সব রাজ্যে ছোট বড় সব মামলা তুলে দেওয়া হচ্ছে ইডি-র হাতে তখন মামলার অভিযুক্ত হিসাবেও সামনে আনা হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে। বিজেপি নেতাদের নাম এলে সেই মামলা দীর্ঘদিনের জন্য ঠাণ্ডাঘরে চলে যাচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। সেখানে নরেন্দ্র মোদি দাবি করছেন ৯৭ শতাংশ বিচার হচ্ছে আধিকারিক, বেআইনি ঋণদাতা বা ড্রাগ মাফিয়া।