লোকসভা নির্বাচনে জিততে ফের পুরোনো তাস খেলা শুরু বিজেপির। কেন্দ্রীয় এজেন্সি, নির্বাচনী বন্ড, ধর্মীয় তাস যেখানে কাজ আসেনি সেখানে ঘোড়া কেনাবেচার পথে কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন দল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনার অপারেশন লোটাসে (operation lotus) নেমেছিল বিজেপি, আবার সেই পথে কর্ণাটকে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা। রাজ্যের বিধায়কদের দলে টানতে ৫০ কোটির লোভ দেখানোর অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস বিধায়কদের দলে টানতে পারলে নির্বাচনের পরে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়াও সহজ হবে বিজেপির পক্ষে।

২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে কর্ণাটকে (Karnataka) কংগ্রেস সরকার গঠনের আগে চরম নাটকীয়তার সাক্ষী ছিল রাজ্যের মানুষ। সিদ্দারামাইয়ার সরকার গঠনের পরেও কংগ্রেস বিধায়কদের কেনার জন্য অমিত শাহ-র থেকে ১০০০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন কর্ণাটকের বিজেপি নেতৃত্ব, সেটাও বিধায়ক কেনার টাকা ছিল। সেই অপারেশন লোটাস লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের চালু করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে তুললেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।

তাঁর অভিযোগ, “গত বছর ওরা আমার সরকার ভাঙার চেষ্টা করেছিল। আমাদের বিধায়কদের ৫০ কোটি টাকার টোপ দেওয়া হয়েছে। ওরা চেষ্টা করেছে কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।” সিদ্দারামাইয়ার দাবি, কংগ্রেসের বিধায়কদের কেনা সম্ভব না। কারণ একজন বিধায়কও কংগ্রেস ছেড়ে যাবেন না। এমনকি তাঁর সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করবে বলেই তাঁর দাবি।
