শিক্ষক নিয়োগ মামলায় একের পর এক নজিরবিহীন রায় দিয়ে রাতারাতি চাকরিপ্রার্থীদের কাছে রাতারাতি “ভগবান” হয়ে উঠেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু পুরোটাই ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। স্বেচ্ছাবসর নিয়ে অভিজিৎ এখন বিজেপির টিকিটে লোকসভা ভোটের লড়াইয়ের ময়দানে নাম লিখিয়েছেন। প্রাক্তন বিচারপতিকে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক আসনে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এক চাকরি প্রার্থীকেই লড়িয়ে দিল আইএসএফ।

মাহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মাহি নামে ওই চাকরিপ্রার্থী ২০১৬ সালে তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা করেছিলেন। উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে প্রথম যে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত, সেই মামলার অন্যতম মামলাকারী ছিলেন মুর্শিদাবাদের ওই বাসিন্দা। উচ্চপ্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চের সভাপতি এই মাহি।

কিন্তু কেন আন্দোলন থেকে সরে এসে ভোটের ময়দানে মাহি? সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানালেন, “বঞ্চিতদের কথা তুলে ধরতেই সংসদীয় রাজনীতিতে আসা।” প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে মাহির জবাব, ‘‘আইনি দোহাই দিয়ে আমাদের নিয়োগ আটকে রয়েছে। অনেকে আমাদের ব্যবহারও করেছেন। চাকরিপ্রার্থীদের কথা তুলে ধরার মতো পরিবেশ তমলুক কেন্দ্রে তৈরি হয়েছে।”

তমলুক লোকসভা আসনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে তরুণ মুখ দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। বিজেপি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে টিকিট দেওয়ার পর বামেরা প্রার্থী করে তাদের তরুণ মুখ, পেশায় আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু আইএসএফ তাঁকে প্রার্থী করে আদপে ভোট কাটাকাটিতে বিজেপি প্রার্থীকেই সুবিধা করে দিল না? মাহি তা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, তিনি শুধু চাকরিপ্রার্থী এবং বাংলার বেকারদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। অন্য কোনও সূত্র বা সমীকরণ এখানে নেই।
