দেশের স্বাধীনতা রক্ষার লড়াই: “বিজেপি হটাও” হুঙ্কার দিয়ে বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর

এটা যেমন তেমন ভোট নয়, এটা দেশের স্বাধীনতা রক্ষার লড়াই। দেশকে যদি স্বাধীন রাখতে হয়, তা হলে ‘বিজেপি হাটাও’। না হলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। সোমবার, দলীয় প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সমর্থনে রাসমেলা ময়দানের সভা থেকে হুঙ্কার দিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে বিজেপির ইস্তাহার নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী। ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকর করার গেরুয়া শিবিরের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মমতা বলেন, এই নীতি কার্যকর করা হলে দেশে আর কখনও নির্বাচনই হবে না। মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। তৈরি হবে স্বৈরাচারী সরকার।

তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, এটা যেমন তেমন নির্বাচন নয়। এটা দেশের স্বাধীনতা রক্ষার লড়াই। দেশকে যদি স্বাধীন রাখতে হয়, তা হলে ‘বিজেপি হাটাও’। না হলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না- মত মমতার। বিজেপির ইস্তাহার নিয়ে এদিন তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, “ওরা তো ইস্তাহারে বলেই দিয়েছে, ‘এক দেশ এক ভোট’ করবে। অর্থাৎ, দেশে আর নির্বাচন থাকবে না। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো থাকবে না। রাজ্যগুলো আর থাকবে না। দেশে ভোট হবে না। স্বৈরাচারী সরকার তৈরি হবে। একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।“ মমতার কথায়, “আপনারা দেখেছেন কাল কি ম্যানিফেস্টোয় কী বলেছে? আমি যেটা আগে বলি, পরে সেটা অনেকে বোঝে। যখন আমি আগে বলি, তখন আমায় ভুল বোঝে। ভাবে আমি ঠিক বললাম কি না। বলেছিলাম, মাছের মাথাটা হচ্ছে ক্যা, আর লেজটা হচ্ছে এনআরসি। আর মধ্যিখানের পেটিটা হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। কাল ম্যানিফেস্টোয় রেখেছে, কি রাখেনি?“

বিজেপির নীতিকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “এক দেশ, এক ভোট মানে এক নেতা, এক খাবার, এক ভাষা, এক ভাবনা। সারা দেশ বুঝে গিয়েছে, এ বার আপনারাও বুঝুন। দেশকে যদি স্বাধীন রাখতে হয়, তা হলে ‘বিজেপি হাটাও’। না হলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। দেশের ইতিহাস, ভুগোল সব গুলিয়ে দিচ্ছে ওরা।“

মমতার কথায়, “ওদের ইস্তাহারে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ চালু করার কথা বলা হয়েছে। ওটা চালু হলে তফসিলি বন্ধুরা নিজেদের পরিচয় হারাবেন। আদিবাসীদের আর কোনও অধিকার থাকবে না।“ তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আপনারা কখন কী করবেন, সব ওরা ঠিক করে দেবে। কে কী খাবেন, কখন খাবেন, ওরা ঠিক করে দেবে। আপনি কী খাবেন, লিখে দেবে। সকালবেলায় চা খাও। চায়ের সঙ্গে গোমূত্র খাও। আপনি কী খাবেন, লিখে দেবে দুপুরবেলায়। কী খাবে, গোবরের সঙ্গে মিশিয়ে কিছু খাও। সন্ধ্যায় কী খাবেন, সেটাও ওরা ঠিক করে দেবে। রাতে আপনি কত ঘণ্টা ঘুমোবেন, সেটা ওরা ঠিক করে দেবে।“

দুর্নীতি ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, “বাংলায় কোথায় কী দুর্নীতি হয়েছে, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। বিভিন্ন কমিশন কী রিপোর্ট দিয়েছে, দেখান। তবে সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থানের পরিসংখ্যানও প্রকাশ করতে হবে। চ্যালেঞ্জ করে বলছি, বাংলায় কোনও দুর্নীতি হয়নি। তৃণমূল নয়, চুরি করে বিজেপি।“





Previous articleবাংলা ‘সন্ত্রাসবাদী আশ্রয়স্থল’ মন্তব্য করতেই অনুরাগকে ধুয়ে দিলেন শশী
Next articleইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধের আবহে বিরাট ধস শেয়ার বাজারে,৮.২১ লক্ষ কোটি লোকসান!