উন্নয়ন প্রশ্নে বৈষম্য করেনি দল,তৃণমূলের ভোট প্রতি বুথে বাড়বে:কোচবিহারে কুণাল

বাংলার বকেয়া টাকা, আবাসের টাকা দেওয়া হোক বলে একটি বাক্যও তো বলেন নি বিজেপির সাংসদরা? যারা বিজেপিতে ভোট দিয়েছিলেন তাদের টাকাও মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হচ্ছে।

বাংলায় হেরে গেছে বলে বৈষম্য মূলক আচরণ করে বিজেপি। ১০০ দিনের টাকা দেব না, আবাসের টাকা দেব না। ইডি-সিবিআই বাংলায় পাঠাও। যেখানে তৃণমূল কম ভোট পেয়েছে সেখানেও রাজ্য সরকারের প্রকল্প কাজ করেছে। মানুষ বুঝতে পারছেন তফাতটা। তাই তৃণমূলের ভোট প্রতি বুথে বাড়বে। কোচবিহারে প্রচারের শেষ লগ্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাফ জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী৫০০ টাকা বাড়িয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীও ৫০০ টাকা বাড়িয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভান্ডারে বাড়িয়েছেন, আর প্রধানমন্ত্রী গ্যাসের দাম বাড়িয়েছেন।কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী,রাজ্যের একটার পর একটা প্রকল্প মানুষের জীবন জুড়ে আছে। এরপর মানুষ বিচার করবেন, কার পাশে থাকবেন।

বিজেপি লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছেন। যে মানুষরা তৃণমূলে ভোট দেন নি, অন্যদের দিয়েছেন বিভ্রান্ত হয়ে। এবার তারাও তৃণমূলকে ভোট দেবেন। তৃণমূল কোচবিহার আসন জিতবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে অভাবনীয় ফল হবে। কারণ, আমরা জনগণের স্পন্দন অনুভব করছি। মুখ্যমন্ত্রী ৫৯ লক্ষ পরিবারকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়েছেন। তারা কী শুধুই তৃণমূল? সেই দলে বিজেপি বা অন্য দলের কেউ নেই?মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও বৈষম্য করেন নি। বাংলার বকেয়া টাকা, আবাসের টাকা দেওয়া হোক বলে একটি বাক্যও তো বলেন নি বিজেপির সাংসদরা? যারা বিজেপিতে ভোট দিয়েছিলেন তাদের টাকাও মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হচ্ছে।

কুণালের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গের ঝড়ের কথা নিয়ে কিছু বললেন না তো প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের প্রতিটি পরিবার উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের মধ্যে আছেন। তৃণমূলের প্রতিবুথে ভোট বাড়বে। আমরা একশো শতাংশ ভোট পাওয়ার চেষ্টা করব। মানুষ উপকার পেয়েছেন তাই আমাদের দলের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনার জবাব দিতে ভোট দেবেন। বিজেপি সাংসদরা কাজ না করায় তাদের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। কুণাল বলেন, আপনার অধিকারের জন্য লড়বে এমন সাংসদ চাই। কেন্দ্রে এবার অবিজেপি সরকার আসছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসছেনা। আর তার নিয়ন্ত্রক হবে তৃণমূল কংগ্রেস। আমরা উঠতে বললে উঠবে। বসতে বললে বসবে। বামপন্থী কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে সাহায্য করা।

কুণালের কটাক্ষ, নরেন্দ্র মোদি ভোট পাখি। শুধু কুৎসা, সিবিআই আর ইডি। ভোটের সময় এসেছেন মানুষকে ভুল বোঝাতে। রাজবংশীদের নিয়ে রাজনীতি করেছে বিজেপি। অসমে বাংলা ভাষী হিন্দুরা ডিটেনশন ক্যাম্পে। আপনি ফর্ম ফিলাপ করলে  জটিল প্রক্রিয়ায় ফেলে দিচ্ছে। বিজেপি অস্বিত্বের শিকর ধরে টান মারছে। নাগরিকদের সুরক্ষার দায়িত্ব তৃণমূলের। কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ কোচবিহারের জন্য টাকা এনে দিতে পারেন নি। নরেন্দ্র মোদি কাঁচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়বেন না। হিম্মত থাকলে আগে শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে গ্রেফতার করুন। অনেক পরিচিত ব্যাঙ্ক লুট করেছে। বাংলা, শহর কলকাতা দেশের মধ্যে নিরাপদ, মোদি সরকারের রিপোর্ট বলছে ৷ ৷ কোথাও কিছু ঘটলে ব্যবস্থা হচ্ছে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর বাংলায় মায়েরা  মেয়েরা নিরাপদ।

জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, নরেন্দ্র মোদি ৯০ শতাংশ মিথ্যা কথা বলেন। গণতন্ত্র রক্ষায় বাংলাই পথ দেখাবে। আগামী দিনে দিল্লি সরকারের প্রধান হবে বাংলা। যাতে সংবিধান ধ্বংস না হয়। বাংলা কখনও মাথা নত করতে জানেনা। বিজেপি বাংলাকে ঘৃণা করে। বাঙালিদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বিজেপি নেতারা৷ আমরা চাই গণতন্ত্রকে বাঁচাতে সব আসনে তৃণমূলকে জেতাতে হবে৷