অবশেষে জাতি জনগণনার পথে কেন্দ্র, পাল্টা কোটার দাবি কংগ্রেসের

অশ্বিনী স্পষ্ট করেন, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই জাতিগত জনগণনার (caste census) পক্ষে মত দেন। সেই দিকে নজর রেখেই মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্তে

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পরে প্রতি পদক্ষেপে ব্যাকফুটে মোদি সরকার। ২০০০ সাল থেকে যে জনগণনা করার দিকেই এগোয়নি মোদি সরকার, এবার সেই জনগণনা (census) হবে। এবং তাতে যুক্ত হবে জাতি জনগণনাও (caste census)। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পরে এই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় রেল ও তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishbaw)। মন্ত্রীর ঘোষণার পরেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলগুলি জাতিগত জনগণনাকেই ইস্যু হিসাবে রেখেছিল। অবশেষে সেই দাবিতেই মান্য়তা দিল কেন্দ্রের সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘোষণার পরে মুক্ত পথে জনগণনার দাবি জানান বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।

২০০০ সালে করোনার কারণে জনগণনা স্থগিত রেখেছিল মোদি সরকার। এরপর ২০২১ সালেও সেই জনগণনা কার্যত গায়ের জোরে করেনি কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকার। অবশেষে সাম্প্রতিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে জনগণনার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সঙ্গে জাতিগত জনগণনার কথাও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ঘোষণার সময় মন্ত্রী অশ্বিনী স্পষ্ট করেন, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই জাতিগত জনগণনার (caste census) পক্ষে মত দেন। সেই দিকে নজর রেখেই মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্তে আসে।

তবে কেন্দ্রের সরকারের জনগণনা ও জাতি জনগণনার প্রক্রিয়া নিয়ে বুধবারই প্রশ্ন তুলে দিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন, স্বচ্ছ পদ্ধতিতে জাতি জনগণনার পথে যাবে কেন্দ্রের সরকার। তারই পাল্টা প্রাইভেট সেক্টর কোটা (private sector quota) রাখার দাবি জানান বিরোধী দলনেতা। এক্ষেত্রে উদাহরণ দিয়ে রাহুল উল্লেখ করেন, জনগণনার (census) ক্ষেত্রে বিহার (Bihar) মডেলের থেকে তেলেঙ্গানা (Telengana) মডেল অনেক ভালো। কেন্দ্রের উচিত সেই পথ অনুসরণ করা।