বুধের ময়দানে মেগা ম্যাচ। অস্কার ব্রুজোঁ (Oscar Bruzon) নাকি কিবু ভিকুনা (Kibu Vicuna), যুবভারতীর মাঠ আজ কার দাপট দেখবে তা জানতে বাড়ছে উন্মাদনা। ফুটবল প্রেমীদের আলোচনায় মূলত দুটো প্রশ্ন। এক, আত্মতুষ্টি ভোগাবে না তো লাল হলুদ শিবিরকে? আর দুই, অঘটন ঘটিয়ে ইতিহাস তৈরি করতে পারবে কি DHFC? মঙ্গলবার শিলংয়ে ডুরান্ড কাপের প্রথম সেমিফাইনালে (Durand Cup Semi final) শিলং লাজং এফসি-কে ১-০-য় হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। আজ ডায়মন্ড হারবার এফসি বনাম ইস্টবেঙ্গল এফসির (DHFC vs EBFC) লড়াই ডুরান্ডের দ্বিতীয় সেমি জেতার লক্ষ্যে।
ইস্টবেঙ্গলের স্বস্তি ও চিন্তা:
ডার্বির মতো কঠিন ম্যাচ জেতায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে দলের। পুরো কোটার বিদেশি প্লেয়ার খেলবে। তবে দু’দিনের মধ্যে আরও একটা কঠিন ম্যাচ খেলতে নামতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। বড় ম্যাচের চাপ এড়ানো যাচ্ছে না। দলের হাফ ডজন খেলোয়াড়ের কার্ড সমস্যা চিন্তায় রেখেছে ইস্টবেঙ্গলের কোচকে। আত্মতুষ্টি আর প্রত্যাশার চাপের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনাও থাকছে। হামিদকে শুরু থেকে খেলানোর ঝুঁকি নাও নিতে পারেন অস্কার। সেক্ষেত্রে গ্রিক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকসকে রেখেই প্রথম এগারো সাজাতে লাল হলুদ শিবির। তবে সউল ক্রেসপো, দিয়ামান্তাকস, মিগুয়েল ফেরেইরা এবং লালচুঙনুঙ্গা, শৌভিক চক্রবর্তী ও মহম্মদ রকিপরা সেমিফাইনালে আর একটা হলুদ কার্ড দেখলে সব শেষ তাই সতর্ক হয়ে মাঠে নামতে হবে।
ডায়মন্ড হারবার এফসির শক্তি ও দুর্বলতা:
লড়াকু মনোভাব আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইতিহাস গড়তে তৈরি দল। বুদ্ধির জোরে অঘটন ঘটাতে আশাবাদী কোচ।DHFC-র বড় কোনও সমস্যা নেই। দলে জবি জাস্টিন, মেলরয় আসিসি, কোয়ার্টার ফাইনালে জোড়া গোলের নায়ক রুয়াতকিমা, হালিচরন নারজারির মতো প্রতিভাবান ও অভিজ্ঞ ফুটবলাররা আশা জাগাচ্ছে। তবে চোটের জন্য দলে নেই ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ক্লেটন সিলভেইরা। মাঠে নামতে পারবেন মাত্র দুজন বিদেশি খেলোয়াড় – স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মিকেল কোর্তাজার এবং স্লোভেনিয়ান ফরোয়ার্ড লুকা মাজেন।
–
–
–
–
–
–
–