বেনজির, পেনাল্টি নেওয়া নিয়ে চেলসির তিন ফুটবলারের ধাক্কাধাক্কিতে ক্ষুব্ধ কোচ

তাদের সেই আচরণ দেখে ক্ষিপ্ত কোচ জানিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে এমন আচরণ বরদাস্ত করা হবে না

ম্যাচ তখন শেষের পর্যায়ে। চার গোলে এগিয়ে রয়েছে দল। জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত। সেই পরিস্থিতিতে মিলল পেনাল্টি। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু সেই পেনাল্টি কে নেবে, তা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি করবেন একই দলের তিন ফুটবলার, সেটা কেউই ভাবেননি। কিন্তু সেটাই করে বসলেন চেলসির তিন ফুটবলার! তাদের সেই আচরণ দেখে ক্ষিপ্ত কোচ জানিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে এমন আচরণ বরদাস্ত করা হবে না।

শেষ পর্যন্ত চেলসি ৬-০ গোলে হারিয়েছে এভার্টনকে। সেই ম্যাচে একাই চার গোল করেন কোল পামার। ম্যাচের বয়স তখন ৬১ মিনিট। একটি পেনাল্টি পায় চেলসি। পামার বল নিয়ে পেনাল্টি মারতে এগিয়ে যান। কিন্তু দুই সতীর্থ নিকোলাস জ্যাকসন এবং ক্রিশ্চিয়ান মাদুয়েকে মোটেই খুশি হতে পারেননি। তাঁরাও চেয়েছিলেন পেনাল্টি নিতে। পামার ধাক্কা দেন জ্যাকসনকে। ছুটে আসেন চেলসির অধিনায়ক কোনর গ্যালাঘার। তিন জনের সঙ্গেই কথা বলেন। শেষে হতাশ মুখ নিয়ে ফিরে যান জ্যাকসন এবং মাদুয়েকে। পামারই পেনাল্টি নেন এবং গোল করেন।

চেলসির কোচ মরিসিয়ো পোচেত্তিনো এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষিপ্ত। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পামারেরই পেনাল্টি মারার কথা। আর কোনও দিন এমন হবে না। শিশুদের মতো আচরণ করা যাবে না। লজ্জাজনক ঘটনা। আমি খেলোয়াড়দের পরিষ্কার বলে দিয়েছি, এই ঘটনা আর কোনও দিন বরদাস্ত করা হবে না। এটা মজার ব্যাপার নয়। আরও এক বার পরিষ্কার করে বলতে চাই, পামারই পেনাল্টি মারবে। পুরো ঘটনায় মাঠ ভর্তি দর্শকও অবাক হয়ে যান। তাদের অধিকাংশের বক্তব্য, পাড়ার ম্যাচে এগুলো মেনে নেওয়া যায়। তা বলে চেলসির মতো দলের নামী ফুটবলারদের কাছে এই ধরনের আচরণ সত্যিই অবাক করে।