Monday, November 3, 2025

প্রথম দফায় ‘তিনে তিন’; উত্তরের সব আসন তৃণমূলের, দাবি নেতৃত্বের

Date:

আলিপুরদুয়ারের সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া থেকেই তৃণমূলের উত্তরের তিন প্রার্থীর নিশ্চিত জয়ের দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। ইতিমধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সভা, রোড শো করে প্রমাণ করে দিয়েছেন মানুষের সমর্থন কার সঙ্গে। পাশাপাশি তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ তৃণমূলের সমর্থনে আছেন। আর তার প্রধান কারণ হিসাবে উঠে এসেছে কেন্দ্র সরকার যখন মানুষের প্রতি বঞ্চনা করেছে তখন রাজ্যের সরকার মানুষের ভাঁড়ার ভরেছে আর্থিক ভাতা ও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে। আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশচিক বরাইককে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব বুধবার তিনে তিন করার আত্মবিশ্বাসী বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার তিন কেন্দ্রেই নির্বাচনের দিন অর্থাৎ শুক্রবার নির্বাচন শেষে তিন প্রার্থীর শরীরী ভাষা বলে দেবে তাঁরা জিতছেন, দাবি তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। তিনি বলেন, ” দুটো সরকারের তুলনা করছেন মানুষ। একটা সরকার পেট্রোল, ডিজেল, খাদ্যসামগ্রী, জীবনদায়ী ওষুধ থেকে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে চলেছে। উল্টোদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আমাদের সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, বিনামূল্যে রেশন, কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, জল, আলো, কর্মসংস্থানের মতো একের পর এক জনমুখী প্রকল্প নিয়ে এসেছে। দুটো সরকারের মধ্যে পাঁচশো টাকার তফাত। মোদি সরকার পাঁচশো টাকা বাড়িয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও পাঁচশো টাকা বাড়িয়েছে। তফাত একটাই, মোদি সরকার রান্নার গ্যাসে বাড়িয়েছে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বাড়িয়েছে।”

কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির চাবাগান অধিগ্রহণের প্রতিশ্রুতির কথা যেমন তুলে ধরেন তিনি, তেমনই অমিত শাহর নারায়ণী সেনা গঠনের প্রতিশ্রুতিও কতটা ভাঁওতা তা তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গে তৃণমূল রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার উল্লেখ করেন চাবাগানের মহিলাদের নিজেদের টাকা শুধুমাত্র হাতের ছাপ বদলে যাওয়ায় তুলতে দেয়নি কেন্দ্র সরকার। চা পাতা তুলতে গিয়ে তাঁদের হাতের রেখা নষ্ট হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু কোনও বিকল্পের পথ না খুলেই তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আটকে দেয় কেন্দ্র সরকার। সেই বঞ্চনাও শুধু বাংলার জন্য। আর সেই বঞ্চনার বিরুদ্ধেও রায় দেবে মানুষ, দাবি জয়প্রকাশের।

আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আন্দোলন করেছিলেন। তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন। ঠিক তার উল্টোদিকে বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সাংসদের এলাকার মানুষের দায়বদ্ধতা কেমন তাও উদাহরণ দিয়ে তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। তিনি মনে করিয়ে দেন, “কেন্দ্র সরকারের হাফ মন্ত্রী জন বার্লা সাংসদ হিসাবে বান্দাবানি চা বাগান দত্তক নিয়েছিলেন। অথচ করোনা মহামারি চলেছে যখন তখন একবারও সেখানে যাননি।”

 

Related articles

ঝুলনকে নিয়েই সাফল্যের উদযাপন স্মৃতিদের, বাঙালির গর্ব বিশ্বকাপজয়ী রিচা

পঙ্কজ রায় থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বা ঝুলন গোস্বামী, ক্রিকেট বিশ্বের দরবারে বাংলার মুখ অনেকেই। কিন্তু সৌরভ-ঝুলনদের পাশে ছিল...

মায়ানগরীতেই স্বপ্নপূরণ, এক নজরে ব্যাটে বলে ধামাকাদার ম্যাচের স্কোর বোর্ড

মুম্বইকে বলা হয় মায়ানগরী। কত স্বপ্ন এখানে সফল হয়। এই মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১১ সালে ২ এপ্রিল ওয়ানডে...

ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের মেয়েরা: শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর ও ক্রীড়ামন্ত্রীর

রবিবারের মধ্যরাতে রচিত হল নতুন ইতিহাস। প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের মহিলা ক্রিকেট ব্রিগেড। ইতিহাস রচনা হওয়ার রাতে ভারতীয়...

দীপ্তি-শেফালিদের হাত ধরেই বিশ্ব জয়ের তৃপ্তি, ইতিহাস সৃষ্টি হরমনপ্রীতদের

বিশ্বসেরা ভারত(India)। মহিলাদের একদিনের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়া। মুম্বই ইতিহাস সৃষ্টি ভারতীয় মহিলা দলের। প্রোটিয়াদের ...
Exit mobile version