বুধবার রামনবমীতে রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতায় নির্বিঘ্নে উৎসবের মেজাজে পালিত হয় রামচন্দ্রের জন্মদিন। তবে বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি প্রার্থীদের অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রায় তাল কটেছে। তবে বাংলার মানুষ বিজেপির এই চক্রান্তের বিরোধিতা করেছে রাজ্যকে শান্ত রেখে, দাবি তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। সেই সঙ্গে রামনবমীর দিন হাওড়ায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের যাওয়া নিয়েও সরব তৃণমূল নেতৃত্ব।

২০২৩ রামনবমীতে বন্দুক হাতে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন এক বিজেপি কর্মী। সেই ঘটনার উল্লেখ করে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দাবি, “সুমিত সাউ নামে হাওড়ার একটি ছেলে রিভলভার নিয়ে ঘুরেছিল। রামের হাতে রিভলভার ছিল না কি? বিজেপি ক্যাডার। তাকে রাজ্য পুলিশ বিহারের মুঙ্গের থেকে ধরে এনেছিল। এনআইএ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। এই প্ররোচনা এই অশান্তি বিজেপির চক্রান্ত ছিল। বাংলার মানুষ তার বিরোধিতা করেছে।”

একই ভাবে এবছর সেই বিজেপির প্রার্থীদের বিভিন্ন জেলায় অস্ত্র হাতে মিছিল করতে দেখা যায়। হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রবীন চক্রবর্তী থেকে দমদমের প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত, বীরভূমের প্রার্থী প্রাক্তন পুলিশকর্তা দেবাশিস ধর থেকে বিজেপি রাজ্য় নেতৃত্বদের অস্ত্র হাতেই মিছিল করতে দেখা যায়। কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, “রামচন্দ্র হাতে তীরধনুক ছাড়া আর কোনও ধারালো অস্ত্র নিয়ে কেউ কখনও দেখেছেন বলে মনে হয় না। রামনবমী মানে শ্রীরামচন্দ্রের পুজো।” সেখানে শান্তিপূর্ণ মিছিলের বদলে অস্ত্র বিজেপি নিয়ে বেরিয়েছে।

অন্যদিকে রামবনমীতে হাওড়ায় গিয়ে রাজ্যপাল পরিস্থিতির খোঁজ নিতে গিয়ে আদতে প্ররোচনা দিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের। কুণাল ঘোষ বলেন, ” সিভি আনন্দ বোস হাওড়ায় কিছু কিছু জায়গায় গিয়েছেন, এটা সমর্থনযোগ্য নয়। অতীতে সেখানে বিজেপির প্ররোচনায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। আজকে যখন সব স্বাভাবিক রয়েছে, অহেতুক সেই জায়গায় গিয়ে রাজ্যপাল প্রশ্ন করছেন কোনও অসুবিধা নেই তো? এ তো বিজেপি চাইছে এই ধরনের প্ররোচনা দিতে, তাতে যদি নতুন করে কিছু তৈরি হয়। এই অভিযোগ করা যেতে পারে বিজেপি বা দিল্লির উপরওয়ালাদের কথা রাজ্যপাল প্ররোচনায় সাহায্য করছেন।”
