আজ দেশজুড়ে শুরু লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোট গ্রহণ। এ রাজ্যের তিন কেন্দ্রেও সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। কোচবিহারে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে ভোট গ্রহণ।

এদিকে এদিন সকাল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দিকে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লেখেন, “ভোট চলাকালীন ‘পিস রুম’-এর নামে তৃণমূল বিরোধী প্রচারের মঞ্চ চালাচ্ছেন রাজ্যপাল।”

রাজ্যপালকে নিয়ে কুণালের আরও অভিযোগ, “তিনি নির্বাচন কমিশনের কেউ নন। ভোটের দিন এমনভাবে দিল্লি নিযুক্ত পদাধিকারীর প্রচার রীতিনীতি বহির্ভূত। আইনশৃঙ্খলা এখন কমিশনের দায়িত্বে। সেখানে রাজভবনের কোনও ভূমিকা নেই। রাজ্যপাল পরিকল্পিতভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। তিনি ভোট আসনগুলিতে সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন তৃণমূল প্রতিবাদ করায়। তাই রাজভবনকেই অপব্যবহার করছেন ভোট চলাকালীন।”

ভোট চলাকালীন ‘পিস রুম’-এর নামে @AITCofficial বিরোধী প্রচারের মঞ্চ চালাচ্ছেন রাজ্যপাল। তিনি নির্বাচন কমিশনের কেউ নন। ভোটের দিন এমনভাবে দিল্লি নিযুক্ত পদাধিকারীর প্রচার রীতিনীতি বহির্ভূত। আইনশৃঙ্খলা এখন কমিশনের দায়িত্বে। সেখানে রাজভবনের কোনো ভূমিকা নেই। রাজ্যপাল পরিকল্পিতভাবে…
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 19, 2024
প্রসঙ্গত, আজ, প্রথম দফা ভোটের দিন আলিপুরদুয়ারে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাতে আপত্তি তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ ছিল, ভোটে বেআইনিভাবে হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন রাজ্যপাল, যা মোটেই কাম্য নয়। তাই এনিয়ে কমিশনকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। আর তাঁর সফর ঘিরে এ ধরনের রাজনৈতিক রং লাগতেই সফর বাতিল করে দিলেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানান, রাজভবনের ‘পিসরুম’ থেকেই তিনি সামগ্রিকভাবে ভোট পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবেন। এদিন তারই বিরোধিতা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, “পিস রুম”র নামে আসলে পরিকল্পিতভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করতে চাইছেন রাজ্যপাল।


অন্যদিকে, আজ শুক্রবার প্রথম দফা ভোট শুরু হওয়ার আগেই কালীঘাটে পুজো দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল জানান, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোটের প্রার্থনায় তাঁর এই পুজো। রাজ্যপালের কথায়, “আমি বাংলার মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করেছি। অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট হোক।”
