Wednesday, November 5, 2025

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-দিদির শপথে আস্থা, উত্তরে প্রথমদিন ভোটে উৎসাহে সামিল মহিলারা: তৃণমূল

Date:

মানবিকও সামাজিক প্রকল্পের রূপায়ণ থেকে শুরু করে, মহিলাদের উন্নয়ন, গ্রামীণ পরিকাঠামোয় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে বাংলা। এবার দেখা গেল ভোটদানের ক্ষেত্রেও দেশের মধ্যে সবার থেকে এগিয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় শুক্রবার ৩টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, এই তিন কেন্দ্রে প্রথম ২ ঘণ্টায় গড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে, যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। এটা দিদির গ্যারান্টি আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জয়- মত তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের। এদিন দেশের মোট ১০২টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলার এই ৩টি কেন্দ্র ছাড়া আর কোথাও প্রথম ২ ঘণ্টাতে এই হারে ভোট পড়েনি। আর সেই কারণেই এই ৩ কেন্দ্রে জয় নিয়ে তৃণমূল যেমন রীতিমত আশাবাদী ও উচ্ছ্বসিত তেমনি চিন্তা দেখা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরে।


এবিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) বলেন, এটা ‘দিদির গ্যারান্টি’ আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জয়। মানুষ, বিশেষ করে মহিলারা বিপুল সংখ্যক বিজেপিকে (BJP) ক্ষমতাচ্যুত করতে মাঠে নেমেছেন। বিজেপি বাংলার মহিলাদের বদনাম করার এজেন্ডা নিয়েছিল, কিন্তু মহিলারা যেভাবে তাদের ভোট দেওয়ার জন্য প্রচুর সংখ্যায় এসেছেন এবং লক্ষ্মীর ভান্ডারের সমস্ত প্রশংসা করেছেন তা বিজেপিকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। কোচবিহারের বিজেপি বলেছে যে যখন বিজেপি তারা ক্ষমতায় এসে লক্ষ্মীর ভান্ডারকে থামিয়ে দেবে; আজ মহিলারা এই বাংলা-বিরোধী জমিদারদের আসল জায়গা দেখিয়েছে।

তিনি আরও বলেন,বাংলার যে উন্নয়ন প্রকল্প সেই প্রকল্প দেশের অন্যান্য রাজ্য অনুসরণ করছে। আমরা মনে করি সেই প্রকল্প কেন সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে না তাই আমাদের ইস্তাহারে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে যে প্রকল্প গুলো বাস্তবায়িত হবে তার কথা উল্লেখ আছে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট জানালেন মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja)। তিনি বলেন, বাংলার মানুষের আবাস এবং MGNREGA তহবিল বন্ধ করে তাদের হাসি কেড়ে নিয়েছে বিজেপি।তার জবাব প্রথম পর্বের ভোটে পড়েছে বলে আমরা মনে করি। কোচবিহারে, সমস্ত ভয়ভীতি, সহিংসতা সত্ত্বেও মানুষ ইতিমধ্যেই মোদির মন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মানুষকে ভয় দেখিয়েও দমানো যায়নি।

INTTUC-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Ritabrata Banerjee) পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, এই সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক বিভিন্ন প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। এই সরকার যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে,তার প্রভাব ভোট বাক্সে পড়ছে।




Related articles

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...

‘সুফল বাংলা’ থেকে ‘উত্তরণ’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথেই নিউ ইয়র্ক জয় মামদানির!

পরিবর্তনের ডাক। মা-মাটি-মানুষের জন্য স্লোগান। উন্নয়নমূলক পদক্ষেপে নাগরিক স্বাচ্ছন্দে জোর। একের পর এক জনমুখি প্রকল্প ঘোষণা। বাংলায় সাধারণ...
Exit mobile version