প্রথমদফার ৩ আসনেই ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’: রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে বার্তা অভিষেকের

প্রথমদফার উত্তর তিন কেন্দ্রে বাংলার মা-বোনেরা সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছে। শুক্রবারের তিন আসনেই জিতবে তৃণমূল (TMC)। শনিবার, রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর হয়ে প্রচারসভা থেকে এই বার্তা দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি প্রশ্ন তোলেন, উত্তরে আসনগুলিতে জিতেও গত পাঁচ বছরে কতবার এসেছেন নরেন্দ্র মোদি? তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, “বিজেপির স্থানীয় সাংসদ ২বছর কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন। একটাও প্রকল্প এনেছেন?“

প্রথমদফায় উত্তরের যে ৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে, তার সবকটিতেই জিতবে তৃণমূল। শুক্রবার রাতে, সেই উলপক্ষ্যে আনন্দমিছিল করে রাজ্যের শাসকদল। সেই প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, মানুষ প্রথম দফায় সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছে। কারণ, এখন থেকে ভোট নিয়ে গিয়ে কোনও কাজ করেনি বিজেপি। আর বাংলায় গেরুয়া শিবিরকে সাহায্য করছে কংগ্রেস-সিপিএম- তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী মন কি বাত করেন। গত পাঁচ বছরে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের কেউ এসে কি জিজ্ঞেস করেছিল, কিছু প্রয়োজন? খাবেন? অনেক লোক বাইরে আটকে ছিলেন লকডাউনে। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য কেউ কোনও পদক্ষেপ করেছিলেন?“

কংগ্রেস-সিপিএম-কে এক তিরে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “২০১৪ সাল পর্যন্ত এখানে সাংসদ ছিলেন কংগ্রেসের। তার পরের বার সিপিএমের। গত বার বিজেপির প্রার্থী জেতেন।“ অভিষেকের অভিযোগ, “মানুষকে ভুল পথে চালিত করেছেন মহম্মদ সেলিম এবং দীপা দাশমুন্সি। এই ভোট তৃণমূল পেলে তৃণমূলের সাংসদ জিতত। ২০১৯ সালে আসলে বিজেপির হাত মজবুত করেছেন ওরা।“

তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলে, “এখানকার বিজেপি সাংসদ এবার দক্ষিণ কলকাতায় গিয়েছেন লড়তে। এখানকার সাধারণ মানুষ, এমনকি বিজেপি নেতারাও তাঁকে দেখেননি। তিনি এ বার দক্ষিণ কলকাতায় কড়া জবাব পাবেন।“ হুঙ্কার দিয়ে অভিষেক বলেন, “যাঁরা ভাগাভাগির কথা বলে, হিন্দু-মুসলমানকে লড়াই করায়, দাঙ্গা করায়, তাঁদের সরাতে হবে। মোদি বলেন ৪০০ পার। আমি বলি, ওঁদের ৪০৪ ভোল্টের ঝটকা দেওয়া উচিত। যাঁরা আপনার ভোট নিয়ে আপনার উপর জুলুম করে, তাঁদের জবাব দেওয়া উচিত।“

অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কথায়, “অন্য যে রাজ্য কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির লড়াই, সেখানে কংগ্রেসের লোক বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এখানে উল্টো গঙ্গা। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বহু মানুষ।“ দলীয় প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী প্রসঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ওঁরা যে ভাষা বোঝে, সেটাই বলুন। আপনারা দল ভাঙার রাজনীতি জানলে, তৃণমূলও জানে। কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি ছেড়ে আসার পরেই ওঁর বাড়িতে আয়কর দফতরের হানা। দুদিন ধরে চলেছিল। তা-ও তিনি নত হননি। লড়াই করেছেন। যে নিজের ভালবাসা নিয়ে এঁদের সঙ্গে লড়াই করে, তাঁদের জনতার প্রতিনিধি হওয়া উচিত কি না, আপনারাই বলুন?“




Previous articleএকই অপরাধে শাস্তি রাহুল-রুতুরাজের, করা হল জরিমানা
Next articleবিজেপির কাজের হিসেব চান, বাংলায় আমিই পাহারাদার- মালদহে গর্জে উঠলেন মমতা