ভিভিপ্যাট ও ইভিএমের হিসেব মেলানো নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের পথে শীর্ষ আদালত!

স্বচ্ছ ভাবে ভোট পরিচালনা করতে ভিভিপ্যাট ও ইভিএমের (VV Pad & EVM Machine)হিসেব মেলানো কি বাধ্যতামূলক? বুধেই বড় সিদ্ধান্ত। বিরোধীদের দাবি ছিল এই দুই যন্ত্রের পরিসংখ্যান মিলিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। উল্টোদিকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) জানিয়েছিল এই প্রক্রিয়া ভারতের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের উৎসবকে ব্যালটের জমানায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। আর কিছুক্ষণেই এই মামলার রায় ঘোষণা করবে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চ।

ঠিক কী কাজ করে ভিভিপ্যাট? ইভিএমে ভোট দেওয়ার পর সেই ভোট সঠিক জায়গায় পড়ল কি না তা দেখিয়ে দেয় ভিভিপ্যাট। ভোট দেওয়ার মাত্র ৭ সেকেন্ডের মধ্যে প্রার্থীর নাম প্রতীক সহ একটি কাগজ বেরিয়ে আসে মেশিন থেকে। তবে সেই কাগজ প্রার্থীদের হাতে যায় না। অন্য এক জায়গায় জমা পড়ে। এতদিন প্রতিটি এলাকা থেকে যেকোনও পাঁচটি বুথ বেছে নিয়ে সেখানে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজের হিসাব মিলিয়ে দেখার নিয়ম ছিল। কিন্তু হিসাবের গরমিলের অভিযোগ তুলে বিরোধীদের দাবি ছিল, প্রতিটি বুথেই এই কাগজ এবং ইভিএমের ভোট মিলিয়ে দেখতে হবে। বছরখানেক ধরে চলতে থাকা এই মামলার রায় ঘোষণার আগে সুপ্রিম কোর্ট কমিশনের কাছে৩ প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিল বলে আদালত সূত্রে খবর।

প্রথমত: সমস্ত ভিভিপ্যাটেই কি মাইক্রোকন্ট্রোলার ইনস্টল করা আছে?
দ্বিতীয়ত: এই মাইক্রো কন্ট্রোলারকে কি এক বারই প্রোগ্রাম করা যায়?
তৃতীয়ত: নির্বাচন কমিশনের কাছে কতগুলি সিম্বল লোডিং ইউনিট রয়েছে?

পাশাপাশি নির্বাচনী হলফনামা জমা দেওয়ার সময় ৩০ দিন। আর সমস্ত রেকর্ড ৪৫ দিন পর্যন্ত মজুত করা থাকে। এই ভ্রম সংশোধন করা দরকার বলেও জানিয়েছে আদালত। সকালেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ কমিশনের এক আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়েছিল বলে খবর।

 

Previous article‘মা’ উড়ালপুলের সংস্কারের কাজ শুরু, রাতে যান নিয়ন্ত্রণ
Next articleদ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে ফের অশান্ত মণিপুর! ধারাবাহিক IED বিস্ফোরণে ভাঙল সেতু