২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার তদন্তে বিশ্বভারতী বিশ্বিবিদ্যালয়ের সাহায্য চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার ভুল প্রশ্নপত্র নিয়েও এবার নড়েচড়ে বসল হাই কোর্ট। প্রশ্নপত্র যাচাইয়ের জন্য এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা চাইল হাই কোর্ট। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দিয়ে বিশেষ কমিটি গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।২০১৭ সালের পর এবার ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নের ভুল যাচাই করতে এই সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। টেটের মোট ২৩টি প্রশ্ন নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেই ২৩ টি প্রশ্নের উত্তর নতুন করে যাচাই করতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে যাবতীয় নথি উপাচার্যকে দিতে হবে। তিনি কমিটিকে দিয়ে ওইসব প্রশ্নের সঠিক জবাব কি হতে পারে সে ব্যাপারে নিজেদের মতামত এক মাসের মধ্যে কোর্টকে জানাবেন। ১৯ জুন পরবর্তী শুনানিতে এই ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। বুধবার ২০১৭ সালের টেট প্রশ্নের উত্তর যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে কমিটি গড়ে তাদের মতামত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল এই আদালত। প্রাথমিকভাবে, প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় ১৩টি প্রশ্নে ভুল আছে বলে জানা গিযেছিল। এরপর জানা যায়, ১৩ নয় ১৫টি প্রশ্নে ভুল আছে। সেই সংখ্যা বেড়ে ২১টি হয়ে যায়। সবশেষে এখন নতুন করে যে মামলা হয়েছে, তাতে প্রশ্ন ভুলের সংখ্য়া বলা হচ্ছে ২৩টি। ১৫০টি প্রশ্নের মধ্যে ২৩টি প্রশ্নেই ভুল কী করে হয়, বিষয়টি নিয়ে আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালত প্রশ্ন তুলেছিল, কেন প্রশ্ন তৈরির ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি? এই প্রশ্নের উপরই হাজার হাজার কর্মপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। অথচ প্রশ্নপত্রে এত ভুল কেন? তা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় হাইকোর্ট।

আদালত আগেই জানিয়েছিল, এই ভুলের পক্ষে যে বই রয়েছে তার তালিকা তৈরি করে পর্ষদকে দিতে হবে।আদালত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, এই ২৩টি বিতর্কিত প্রশ্নের বাইরে অন্য় কোনও প্রশ্ন নিয়ে নতুন করে আর বিতর্ক তৈরি করা যাবে না।
