চলতি লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার রাজ্যের তিন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচন। গত শুক্রবার উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্র কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ভোট গ্রহণের পর এবার উত্তরের আরও তিন কেন্দ্র দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে ভোট (Darjeeling, Balurghat and Raigunj Election)। রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটে তিন আসনে মোট ৪৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হতে চলেছে। এর মধ্যে দার্জিলিংয়ে রয়েছেন ১৪ জন প্রার্থী যার মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ২ মহিলা । রায়গঞ্জে মোট প্রার্থী ২০ জন (১৯ জন পুরুষ, ১ জন মহিলা)। বালুরঘাট কেন্দ্রে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৩। তিনটি লোকসভা মিলিয়ে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫১ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৫৫।

বাম-কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও এই তিন কেন্দ্রেও লড়াই মূলত বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের। ২০১৯-এর ভোটে এই তিনটি কেন্দ্রই জিতেছিল বিজেপি। তবে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। দার্জিলিংয়ে মূল লড়াই বিজেপির রাজু বিস্তার সঙ্গে তৃণমূলের গোপাল লামা এবং কংগ্রেসের মুনিশ তামাং এর। এছাড়াও বালুরঘাটে বিজেপির সুকান্ত মজুমদারকে লড়তে হবে তৃণমূলের বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে। অন্যদিকে রায়গঞ্জে ত্রিমুখী লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছেন তৃণমূলের কৃষ্ণকুমার কল্যাণী, কংগ্রেসের আলি ইমরান রামজ ও বিজেপির কার্তিকচন্দ্র পাল। এর মধ্যে পার্বত্য অঞ্চলের ভোট কেন্দ্রে পৌঁছতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে কর্মীদের। দার্জিলিং বিধানসভার অধীনে থাকা পুলবাজার ব্লকের তিনটি বুথ মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার বাসিন্দা রয়েছেন। ভোটার সংখ্যা ১৪৫৬ জন। এর মধ্যে দারাগাঁও জুনিয়ার হাইস্কুলে ১০৩৪ জন, রাম্মাম ফরেস্ট প্রাইমারি স্কুলে ২০৯ জন এবং ৭৫৪৫ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত সাবানদেন ফরেস্ট প্রাথমিক স্কুলের বুথে ভোটার সংখ্যা ২১৫ জন । দার্জিলিং সদর থেকে সংশ্লিষ্ট তিনটি বুথের দূরত্ব প্রায় ১০৬ কিলোমিটার ।

প্রথম দফার মতো এই দফাতেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সবরকম নজরদারির ব্যবস্থা রাখছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ভোট নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকছে মোট ৩০৩ কোম্পানি বাহিনী। এছাড়া, এই দফাতেও ১০০ শতাংশ বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। তিন লোকসভা কেন্দ্র মিলিয়ে মোট বুথের সংখ্যা ৫ হাজার ২৯৮। তার মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৪। দার্জিলিংয়ে মোট বুথের সংখ্যা ১৯৯৯, রায়গঞ্জে ১৭৩০, এবং বালুরঘাটে ১৫৬৯। এর মধ্যে দার্জিলিঙে ৪০৮, রায়গঞ্জে ৪১৮ এবং বালুরঘাটে ৩০৮টি বুথ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি ভোট নিরাপত্তায় প্রায় ৭,২৩৭ জন রাজ্য পুলিশের কর্মীকে রাখা হচ্ছে।
