এপ্রিলে গরমের সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে গেছে। কিন্তু আবহাওয়া অফিসের (Weather Department) কর্তারা বলছেন এটা ছিল ট্রেলার মাত্র, আসল খেলা হবে এই মে মাসে। আগামী দু মাস তাপপ্রবাহ এতটাই ঊর্ধ্বমুখী হবে যা হয়তো দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারছেন না আমজনতা। IMD এর পূর্বাভাস রীতিমতো ভয় ধরালো। দুর্বিষহ দুমাসের অগ্রিম সর্তকতা মৌসম ভবনের। তবে এর মাঝেই বুধবার বিকেল থেকে মেঘলা আকাশের দেখা পেল পশ্চিম মেদিনীপুর। সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়তেই চন্দ্রকোণায় শুরু হল বৃষ্টি (Rain in Chandrakona)। বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকলেও এই ক্ষনিকের বৃষ্টিতে সাময়িকভাবে স্বস্তি মিলেছে। শুধু তাই নয় পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল জুড়েই কালবৈশাখীর দাপট লক্ষ্য করা গেছে বলে খবর। বৃষ্টি হয়েছে দীঘাতেও (Rain and Thunderstrom in Digha)।

লোকসভা নির্বাচনের উত্তাপ বাড়ছে। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ (Heatwave)। IMD ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র (Mrityunjay Mahapatra) বলেন, ‘সাধারণত চার থেকে আটদিন হিটওয়েভ চলে দেশে। তবে এ বছর দেশের বিভিন্ন অংশে ১০ থেকে ২০ দিন করে হিটওয়েভ চলবে।’ গুজরাট, মধ্য মহারাষ্ট্র, উত্তর কর্নাটক, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ওডিশা, উত্তর ছত্তিশগড় এবং অন্ধ্র প্রদেশে এবার হিটওয়েভের ভয়ংকর প্রভাব পড়বে। বুধবার ১৩টি রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি ছিল। বাংলায় আগামী শনিবার পর্যন্ত অস্বস্তি বজায় থাকবে। রবিবার এবং সোমবারে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার মাঝেই এদিন বিকেলে কিছুটা হলেও বৃষ্টি ভিজেছে পশ্চিম মেদিনীপুর। কালবৈশাখীর ঝড়ে বেশ বড় কয়েকটা গাছ ভেঙে পড়েছে পর্যটন শহর দীঘায়। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন পর্যটকরা। আগামী দু’ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সর্তকতা বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং পূর্ব মেদিনীপুর এলাকায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা হাওয়া অফিসের।
