IAS-IPS-দের দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন! বিজেপি বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মমতা, মতুয়াদের পাশে থাকার বার্তা

“IAS-IPS অফিসারদের যে রাজ্যে বাড়ি সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের দিয়ে ফোন করানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে BJP-র পক্ষে যেন কাজটা করেন।“ বৃহস্পতিবার, দলীয় প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর সমর্থনে তেহট্টর সভা থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে এদিন ফের মঞ্চ থেকে মতুয়াদের পাশে থাকা বার্তা দেন মমতা।

মহুয়া মৈত্রের হয়ে এদিন প্রচারে যান মমতা৷ তেহট্টে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ স্টেডিয়ামে জনসভায় মতুয়াদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে সরব হন তিনি। বলেন, “মতুয়াদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই“। বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, “১০০ দিনের টাকা দেয়নি? বাংলা ওদের কাছে দুয়োরানি।“ এর পরেই বিস্ফোরক অভিযোগ করে মমতা বলেন, “IAS-IPS অফিসারদের যে রাজ্যে বাড়ি সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের দিয়ে ফোন করানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে BJP-র পক্ষে যেন কাজটা করেন। আমাকে কেউ বলেনি এই কথাটা। আমাকে কোনও পুলিশ বলেননি। কোনও IAS বা IPS বলেনি। কিন্তু খবর এসেছে। নিজের সোর্স থেকে জেনেছি।“

এরপরেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূল সভানেত্রী বলেন, ”কোথায় কত ভোট পড়ল, তার একটি হিসাব ভোটের পর কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছিল। ১১ দিন পর কমিশনের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে যে ভোট শতাংশের হার প্রকাশ করা হয়, তাতে দেখা গিয়েছে ভোট আগের চেয়ে ৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ভোটের দিন লোকে জানল এত শতাংশ ভোট পড়েছে। কিছু দিন পরে সেই সংখ্যা উল্টে গেল! কোনও দেশে এটা হয় না।”

বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, ”নির্বাচনের ১০ বছর আগে থেকে আপনারা মিথ্যে কথা বলছেন মতুয়াদের। কী বলছেন, নাগরিকত্ব দেব? কীসের নাগরিককত্ব? আপনারা তো এমনিতেই নাগরিক। আপনাদের নাগরিকত্ব কাড়ার অধিকার কারোর নেই। এতবড় ক্ষমতা বিজেপির হয় কি করে? আপনার বিজেপির ক্যান্ডিডেট নিজেই এখনও CAA-র জন্য নাম নথিভুক্ত করলেন না কেন? কারণ চালু আছে। জানেন বিদেশী হয়ে যাবে। প্যান কার্ড থাকবে না, আধার কার্ড থাকবে না, কোন সুযোগ সুবিধা থাকবে না। মনে রাখবেন NRC করছে যাতে মানুষকে তাড়িয়ে দেওয়া যায়। CAA করছে যাতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে সব কেড়ে নেওয়া যায়। নমঃশুদ্র, মতুয়া, হিন্দু, সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মানে জানেন? এটা চালু হলে তফসিলি অস্তিত্ব আর থাকবে না। আদিবাসী অস্তিত্ব থাকবে না।মতুয়াদের, রাজবংশীদের অস্তিত্ব থাকবে না। ওয়ান নেশন ওয়ান লিডার। শুধু একজন ভারতবর্ষ চালাবে আর মানুষের মাথায় ডান্ডা চালাবে। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা। অনেক জায়গায় ভোট করতেই দেয় না।”