হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের জের এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছে না আদানি গোষ্ঠী (Adani)। লেনদেনে অস্বচ্ছতার অভিযোগ আদানির ৬ সংস্থার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)-র নিয়ম লঙ্ঘনেরও অভিযোগ উঠেছে ওই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে। নোটিশ পৌঁছাতেই প্রভাব শেয়ার মার্কেটে (Share Market)। আদানি গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই দুটি শোকজ (show cause) নোটিশ পেয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিক ভিত্তিতেই নোটিশগুলি পাঠানো হয়েছে। আদানি এন্টারপ্রাইজের তরফে জানানো হয়েছে, ৩ ধরনের অভিযোগ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বেআইনি লেনদেন, কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়ানো এবং সেবির নিয়ম লঙ্ঘন করেছে ৬ সংস্থা।

যদিও আদানি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে কোন ছয় গোষ্ঠীকে নোটিশ জারি করা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। পাশাপাশি আদানি গোষ্ঠীর দাবি অর্থনৈতিক তথ্য সংক্রান্ত শো কজ নোটিশের কোনও প্রভাব তাঁদের বাস্তব প্রেক্ষিতে পড়বে না। তবে বাস্তবে তেমন প্রতিফলন হয়নি শেয়ার মার্কেটে। উল্টোই দেখা গিয়েছে শুক্রবার। সকাল থেকে আদানির শেয়ার কমে ০.১ থেকে ১.৬ শতাংশের মধ্যে দাঁড়ায়।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research)। ১০০ পাতার ওই রিপোর্ট ঘিরে শুরু হয় ব্যাপক চর্চা। গলা চড়িয়েছিল দেশের তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। এরপর শেয়ার বাজারেও ধাক্কা খায় আদানি গোষ্ঠী। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পরই শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানো এবং বেআইনি লেনদেনের মতো অভিযোগে ভারতীয় ধনকুবেরের সংস্থাকে বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সেবি। এবার এই নিয়েই আদানির সংস্থাগুলিকে নোটিশ পাঠিয়েছে সেবি।
