যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে আচার্যভবনের সামনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ, স্তব্ধ করুনাময়ী

শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফেও পৃথক ভাবে মামলা করা হয়েছে।

যোগ্য চাকরিহারাদের বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়াল করুনাময়ীতে। শুক্রবার তীব্র গরম উপেক্ষা করে আচার্যভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরিহারাদের একাংশ। তাদের বিক্ষোভের জেরে রাস্তায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। সেক্টর ফাইভ থেকে করুণাময়ী যাওয়ার রাস্তা কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। সপ্তাহখানেক আগেই হাই কোর্টের রায়ে চাকরি খুইয়েছেন ২০১৬ সালে এসএসসি দিয়ে চাকরি পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। যাদের মধ্যে যোগ্যদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রশ্ন ওঠে অযোগ্যদের সঙ্গে যোগ্যরা কেন চাকরি হারাবেন। রাজ্য সরকার তাদের পাশে দাঁড়িয়ে এপ্রিল মাসের বেতন দিয়েছে।চাকরি বাতিলের রায় চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফেও পৃথক ভাবে মামলা করা হয়েছে।

এদিন তাদের মূল দাবি ছিল, যোগ্যদের চিহ্নিত করে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এদিন তারা আচার্যভবনে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এই পরিস্থিতিতে আচার্য ভবনের সামনে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরিহারারা। তাদের কারও কারও হাতে ওএমআর শিট রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আমরা যোগ্য শিক্ষক। তাহলেও কেন আমাদের পথে নামতে হবে ? অযোগ্য কিছু শিক্ষকদের জন্য আজ আমাদের পথে নামতে হয়েছে। এসএসসি-র কাছে আমাদের দাবি, ওএমআর শিট প্রকাশ করা হোক। কোনও কোনও বিক্ষোভকারী বলেন, কমিশন সমস্যা তৈরি করেছে । কমিশনকেই সমাধান করতে হবে। আমরা চাই যোগ্যদের তালিকা।এসএসসি কমিশনের অযোগ্যতায় আমাদের পথে বসতে হয়েছে। আমরা যাঁরা সম্মানের সঙ্গে চাকরি করতাম, আমাদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজ আমরা বাধ্য হয়ে পথে বসে অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি। যতদিন না যোগ্যদের চাকরি ফিরিয়ে দিচ্ছে ততদিন আমাদের এই অবস্থান চলবে।

চাকরিহারাদের একাংশের বক্তব্য, এটা নিয়ে আমরা কোনও রাজনীতি চাই না। এখানে এসেছেন এমএ, বিএড, পিএইচডি ডিগ্রিধারী যোগ্য প্রার্থী। ছয় বছর আমরা চাকরি করেছি। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।