শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই সটান রাজ্য ছেড়ে কেরালা পাড়ি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নিতে পারলেও অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের জন্য কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তথ্য অনুসন্ধানকারী দল গঠন করা হয়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজভবনের কর্মীদের মুখ বন্ধ করার নির্দেশ পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সাংবিধানিক রক্ষাকবচের দোহাই ব্যবহার করেই পুলিশি তদন্তে এড়িয়ে যাওয়ার পথ নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
রবিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্লজ্জের মতো একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। সেখানে সংবিধানের ৩৬১ ধারা উল্লেখ করে ব্যাখ্যা করা হয় রাজ্যপাল কীভাবে ‘আইনের উর্ধ্বে’। সেই সঙ্গে উল্লেখ করা হয় তিনি খবর পেয়েছেন পুলিশ বাংলার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতেও পারে। এই প্রসঙ্গকে উল্লেখ করেই রাজভবনের স্থায়ী, অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক বা নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত সব কর্মীদের নির্দেশ দেন সি ভি আনন্দ বোস।
নির্দেশে বলা হয় কোনওভাবেই তাঁরা যেন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ না করেন। পুলিশের সঙ্গে অনলাইনে, অফলাইনে, ব্যক্তিগত, ফোনে বা অন্য যে কোনও পথে যোগাযোগ এড়িয়ে যেতে নির্দেশ দেন রাজ্যপাল নিজে। যেহেতু তিনি বর্তমানে কলকাতার রাজভবনে নেই তাই রাজভবনের আধিকারিককে সবার কাছে তাঁর এই নির্দেশ জানিয়ে দিতেও নির্দেশ দেন।
— Raj Bhavan Kolkata (@BengalGovernor) May 5, 2024
গোটা রাজ্যে শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিয়ে যখন রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে, তখন মুখে কুলুপ বিজেপির নেতাদের। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে জনসভা করতে এসেও এই প্রসঙ্গ স্পষ্টভাবে এড়িয়ে যান। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে তথ্য অনুসন্ধানে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার সম্ভাবনা শুরু হতেই সম্পূর্ণ অসহযোগিতার পথে রাজ্যপাল। এতদিন বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে রাজ্যকে অসহযোগিতা করে উন্নয়নে বাধা তৈরি করেছেন রাজ্যপাল। এবার তাঁরই বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তথ্য অনুসন্ধানে বাধা দিয়ে নিজের আসল উদ্দেশ্য তুলে ধরছেন তিনি।