লাভপুরে প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূল নেত্রীর। রবিবার প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মমতা বলেন, পিসি-ভাইপো নয়, ক্ষমতা থাকলে নাম নিয়ে বলুন, বিজ্ঞাপন করুন। বিজেপিকে তোপ দেগে তৃণমূল নেত্রী বলেন,মিথ্যে বিজ্ঞাপন বিজেপির। রোজ কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে অথচ ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না। আবাসের টাকা আটকে রেখেছে। আবাসের টাকাও রাজ্য দিচ্ছে।বিজেপির এত বিজ্ঞাপনের টাকা কোথা থেকে আসছে? প্রশ্ন মমতার।
এরই পাশাপাশি, এদিন প্রচারে গিয়ে অনুব্রতর পাশে দাঁড়ান মমতা। বলেন, বীরভূমে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কেষ্ট উন্নয়ন হাতের মুঠোয় রেখে কাজ করত। কেষ্ট জেলার উন্নয়ন হাতের তালুতে রাখত। বিজেপি কেস সাজিয়ে জেলে ভরে রেখেছে।একদিন না একদিন কেষ্ট বেরোবে।ভোটের জন্য কেষ্টকে আটকে রেখেছে। ভোট মিটলেই কেষ্টকে ছেড়ে দেবে। এই প্রসঙ্গে বলেন, কেজরিওয়ালও তো জেলে বন্দি রয়েছেন।
এমনকী এদিন সন্দেশখালি নিয়ে সরব হন মমতা।সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপিকে সতর্ক করে বলেন, সন্দেশখালির আসল সত্য ফাঁস হয়েছে। বিজেপি সন্দেশখালির ঘটনা সাজিয়েছিল। পুরোটাই টাকা দিয়ে সাজানো হয়েছিল।তিনি ফের প্রশ্ন তোলেন, পিএম কেয়ারের টাকা কোথায় গেল? বিজেপি ডাকাত কয়লা মাফিয়া সম্বোধন করে মনে করিয়ে দেন, টাকা দিলে টাকা পাওয়া যায় কিন্তু সম্মান পাওয়া যায় না। বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন,মোদি একটা দেশের কাছে প্রতিরক্ষা বিক্রি করে দিয়েছেন। গোটা দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা টাকা খায়। কয়লা খনি থেকে দেশ সব বেচে দিচ্ছে। বাংলাকে বদনাম করছে বিজেপি।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে বলেন, তৃণণূল থাকতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হবে না। বিজেপিকে আমার থেকে কেউ ভাল চেনে না। চাকরি কেড়ে নিচ্ছে চাকরিখেকো বিজেপি। বিজেপি বলছে মাছ খাবেন না, ডিম খাবে না। ওরা ঠিক করে দেবে আপনি কী খাবেন। শুধুমাত্র ধর্মকে সামনে রেখে বিজেপির রাজনীতি। এদিন ফের মমতা বলেন, বাংলায় এনআরসি, সিএএ করতে দেব না।
বীরভূমের সভা থেকে আবারও নির্বাচন কমিশনকে নিশানা মমতার। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি বলছে এই ওসিটাকে চেঞ্জ করতে, করে দিচ্ছে। ডিআইজি পাল্টে দিচ্ছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যা করতে বলছে, তাই করছে। এটা নির্বাচন কমিশন? তিন জনই বিজেপির কোলের সন্তান।’’