হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত চাকরি বহাল থাকবে ২৬ হাজার চাকরিহারাদের। এমনকী এই পুরো সময়টা তারা শিক্ষকতা করতে পারবেন। এই নির্দেশের পরেই খুশির হাওয়া ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের মধ্যে।

এদিন শীর্ষ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের পর ৬ দিনের অনশন ভাঙলেন তাঁরা। তবে অনশন ভাঙলেও তাঁদের স্পষ্ট দাবি, টাকা দিয়ে যারা চাকরির ব্যবস্থা করেছিল, তাদের শাস্তি দিতে হবে। ফলের রস খেয়ে অনশন ভেঙে পর চাকরিহারা শিক্ষক দেবাশিস মণ্ডল বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় একটু হলেও স্বস্তি পেয়েছি আমরা। কারণ ১৬ জুলাই পর্যন্ত সময় পাওয়া গিয়েছে। আমরা আদালতে লড়াই করার সুযোগ পাব। আমরা যারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলাম, এছাড়াও যাঁরা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি’র চাকরিহারা ছিলেন তাঁরাও খানিকটা স্বস্তি পেলেন। যদিও এই স্বস্তি স্থায়ী নয়। আমরা চাইব আমরা যে পদে ছিলাম সুপ্রিম কোর্ট থেকে যেন আমাদের সেই পদে আবার পুনর্বহাল করা হয়। অপর এক চাকরিহারা সুমন বিশ্বাসের কথায়, আমরা হাইকোর্টের রায়ে হতাশ হলেও আইনের প্রতি আস্থাশীল। ন্যায় প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্ট সময় নিচ্ছে, আমরা অপেক্ষা করবো।

শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করতে পারলে পুরো প্যানেল বাতিল করার সিদ্ধান্ত ন্যায্য নয় ৷ সে ক্ষেত্রে আপাতত ২৫,৫৭৩ জন চাকরিতে বহাল থাকছে বলে জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ আগামী ১৬ জুলাই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত৷

আরও পড়ুন- গরমের-পুজোর ছুটিতেও অনলাইন ক্লাস করাতে হবে শিক্ষকদের, জারি নির্দেশিকা
