তৃণমূলের নিশানায় জাতীয় মহিলা কমিশন, রেখার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের ইঙ্গিত শাসকদলের

শশী পাঁজা বলেন যেভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছিল যে বাংলায় নারী নির্যাতন হচ্ছে এবং মিডিয়ার একাংশ সমর্থন করে ভুল তথ্য প্রচার করেছে তা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।

সন্দেশখালি নিয়ে ফের সরব তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। অক্ষয় তৃতীয়া সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Sashi Panja) বলেন সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির অসত্য চিত্রনাট্য সকলের সামনে এসে গেছে। সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন যে সেখানে কোনও নারী নির্যাতন হয়নি। সবটাই বিজেপি ক্রোনোলজি মেনে পরিকল্পনা মতো করেছে। অথচ ভিডিও ফুটেজ প্রকাশে আসার পর নীরব জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (National Human Rights Commission) থেকে শুরু করে জাতীয় নারী সুরক্ষা কমিশন (The National Commission for Women)। এবার তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। পাশাপাশি  রেখা শর্মার (Rekha Sharma) বিরুদ্ধেও নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) অভিযোগ করা হবে বলে এদিন সংবাদমাধ্যমকে জানান শশী পাঁজা (Sashi Panja)। এদিন ফের শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপিকে প্রকাশ্যে সন্দেশখালির ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি তোলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন,  আসল সত্যি বেরিয়ে আসতেই সন্দেশখালির মহিলারাই অভিযোগ করে বলছেন তাঁদের সাদা কাগজে সই করিয়ে মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ লেখা হয়েছে। এরপর যত সময় যাচ্ছে ততই বিজেপির পর্দা ফাঁস করে দিচ্ছেন সেখানকার মহিলারা। এরপর ক্রোনোলজির কথা উল্লেখ করে শশী পাঁজা বলেন, সন্দেশখালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় স্তর থেকে বিভিন্ন কমিশন রাজ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবারেও জনৈক মহিলা অভিযোগ করে বলেছেন যে দিল্লি থেকে নারী সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি এসে জোর করে এই ধর্ষণের বিষয়টি লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। তাই তৃণমূলের তরফ থেকে এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে সন্দেশখালির ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পাশাপাশি, ভারতীয় জনতা পার্টি বিভিন্ন ইউনিট বিশেষ করে কমিশনকে কাজে লাগিয়ে যে ‘ইকোসিস্টেম’ তৈরি করেছিল রাজ্যের মানুষকে ভুল বোঝানোর জন্য, তার বিরুদ্ধে এবার সরব রাজ্যের শাসক দল।

শশী পাঁজা বলেন, সন্দেশখালি মহিলারা রেখা শর্মার নাম করে বলেন যে দিল্লি থেকে আসা এই মহিলাই বারবার করে জোর করছিলেন অভিযোগ করার জন্য।  রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নির্বাচনের আবহে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসনকে টার্গেট করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। শশী পাঁজা বলেন যেভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছিল যে বাংলায় নারী নির্যাতন হচ্ছে এবং মিডিয়ার একাংশ সমর্থন করে ভুল তথ্য প্রচার করেছে তা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। বিজেপির পাশাপাশি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গোটা ঘটনায় উস্কানি দিয়েছে জাতীয় কমিশনগুলি। এবার তাদের দুর্ভাগ্য শুরু হবে বলেও মন্তব্য করেন শশী।

সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র এবং মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বেশ কয়েকজন পদ্ম নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

 

Previous articleআয়কর হানায় উদ্ধার টাকার পাহাড়! চলছে গণনা
Next articleরাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নামছেন অভিযোগকারিণী! পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর ফুটেজ