রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নামছেন অভিযোগকারিণী! পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর ফুটেজ

শ্লীলতাহানি কাণ্ডে রাজভবনের প্রকাশ করা সিসিটিভি ফুটেজ যখন “হাসির খোরাক”, ঠিক তখনই এই ইস্যুতে নয়া মোড়। রাজ্যপালের সিসিটিভি ফুটেজের পাল্টা সিসিটিভি ফুটেজ হাতিয়ার কলকাতা পুলিশের। লালবাজার সূত্রে দাবি, গত ২ মে রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে আসছেন অভিযোগকারিণী, কলকাতা পুলিশের হাতে এসেছে সেই চাঞ্চল্যকর সিসিটিভি ফুটেজ।

 

বৃহস্পতিবার “সচ কা সামনা” বলে একটি অনুষ্ঠান ঘোষণা করে ২ মে, ঘটনার দিনের ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের (বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা ৪০-এর) সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ্যে আনে রাজভবন। তবে সেই ফুটেজ মূলত রাজভবনের মেইন গেটের পুলিশ আউটপোস্ট সংলগ্ন দুটো সিসিটিভির। যেখানে অভিযোগকারিণী রাজভবনের দিক থেকে হেঁটে ওসি রাজভবনের ও অতিরিক্ত চেম্বারে কখন ঢুকছেন তা দেখানো হয়। সেখানে যদিও তরুণীর কাঁদতে কাঁদতে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসার এই ফুটেজটি দেখানো হয়নি। কেন সেই ফুটেজ রাজভবন দেখালো না কিংবা এই ফুটেজ না দেখানোর পিছনে কিছু লুকোনোর চেষ্টা কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে।

অন্যদিকে, শ্লীলতাহানি অভিযোগের তদন্তে এখন কলকাতা পুলিশের পালটা হাতিয়ার রাজভবনের ভিতরের অন্য এই ফুটেজটি-ই। পুলিশ সূত্রের আরও, সেদিন বিকেলে ৪টে থেকে সাড়ে ৪টে নাগাদ রাজ্যপালের চেম্বারে ঘটনাটি ঘটে। তারপরের পরের ঘটনাক্রম সম্পর্কে ওই তরুণী যা দাবি করেছেন, তার সঙ্গে সঙ্গতি মিলেছে রাজভবনের এক শেফের বয়ানেও। সব মিলিয়ে শ্লীলতাহানির ইস্যু এবার আরও অস্বস্তি বাড়াল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। প্রসঙ্গত, জনতাকে এভাবে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানোর পরই মুখ খোলেন অভিযোগকারিণী। বলেন, “এখন যা পরিস্থিতি, আমার আত্মহত্যা করা ছা়ড়া আর কোনও উপায় নেই!”

অভিযোগকারিণীর কথায়, “হাস্যকর নাটক না করে, পুলিশকে তদন্ত করতে দিলে আমরা মনে হয় সেটা আরও বেশি কার্যকরী হত। রাজ্যপাল মহাশয় নিজে একটি একটা কুরুচিকর কাজ করলেন এবং নাটক মঞ্চস্থ করলেন। আমার ফুটেজটা প্রকাশ্যে আনলেন, আমি যতদুর জানি, ভারতীয় আইনে এটা আছে যে, অভিযোগকারিণীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এখন যে ফুটেজটা ভাইরাল হয়েছে, সেখানে কিন্তু প্রকাশ্যে আমাকে (মুখ) দেখা যাচ্ছে।”

 

Previous articleতৃণমূলের নিশানায় জাতীয় মহিলা কমিশন, রেখার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের ইঙ্গিত শাসকদলের
Next articleরবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে ভুল বানানে ভুল কবির গান পোস্ট করে বিপাকে নুসরত!