জেলবন্দি রাখা গেল না, সুপ্রিম নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কেজরিওয়াল

কেন নির্বাচনের আগে কেজরিকে গ্রেফতার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের পর্যবেক্ষণ, দেড় বছর শহরেই ছিলেন তিনি। তখন গ্রেফতার করা যেত

ফাইল চিত্র

চক্রান্ত করেও জেলবন্দি রাখা গেল না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal)। বিরোধী দলের নেতাদের এজেন্সি, বিচার ব্যবস্থা দিয়ে পর্যুদস্থ করার যাবতীয় বিজেপির পরিকল্পনা সুপ্রিম কোর্টে শেষমেশ মুখ থুবড়ে পড়ছে, সেটা আরেকবার প্রমাণিত শুক্রবার। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় শোনালো শুক্রবার। এর আগে বুধবারই এই রায়ের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, যখন সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায় অন্তর্বর্তী জামিন (interim bail) পেলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কোনও নথিতে সই করতে পারবেন না। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন তাঁর জামিন আপ তথা বিজেপি বিরোধী দলগুলির জন্য বড় স্বস্তির খবর। ১ জুন পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। ২ জুন তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

শুক্রবারের শুনানির শুরুতেই ইডি (ED)-র পক্ষ থেকে ফের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। ইডি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয় জেল থেকে মুক্তি কারো মৌলিক অধিকার (fundamental right) নয়। এমনকি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার বিরোধিতাকে সামনে রেখেই জামিনের বিরোধিতা করেন ইডি-র আইনজীবীরা। স্পষ্ট প্রমাণিত হয় নির্বাচনের আগে কেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারিতে তৎপর হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।

অন্তর্বর্তী জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে ইডি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যেন নির্বাচনী প্রচারে এই মামলা নিয়ে কিছু না বলেন কেজরিওয়াল। জবাবে বিচারপতি খান্নার পর্যবেক্ষণ, সেক্ষেত্রে ইডি-কে নিজেদের পাল্টা যুক্তি সাজিয়ে সেই বয়ানের বিরোধিতা করতে হবে। অর্থাৎ শুক্রবারের জামিনে নির্বাচনী প্রচারে (election campaign) অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপর কোনও বাধাই রাখেনি সর্বোচ্চ আদালত।

জামিনের পক্ষে কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সাংভি যে সওয়াল করেছিলেন ইডি-র গ্রেফতারির সময় নিয়ে কার্যত সেই সওয়ালেই মান্যতা দিয়েছে বিচারপতি খান্না ও বিচারপতি দত্তর ডিভিশন বেঞ্চ। কেন নির্বাচনের আগে কেজরিকে গ্রেফতার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের পর্যবেক্ষণ, দেড় বছর শহরেই ছিলেন তিনি। তখন গ্রেফতার করা যেত। আরও আগে বা পরেও গ্রেফতার করা যেত। সেক্ষেত্রে ২১ দিন তিনি জেলে থাকলেন বা বাইরে, তাতে কিছু যায় আসে না, এমনটাই পর্যবেক্ষণে জানায় সর্বোচ্চ আদালত।

Previous articleভূতুড়ে শপিং মলের সংখ্যা বাড়ছে, কোটি কোটি টাকা লোকসান লগ্নিকারীদের
Next articleসন্দেশখালির মিথ্যাচারের জবাব দেবে বাংলা, রাজ্যপাল পদের কলঙ্ক বোস! তীব্র আক্রমণ অভিষেকের