ডানলপ জেশপের বিল আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। রাজ্য অধিগ্রহণ করে সাধারণ মানুষের কাজ পাওয়ার ব্যবস্থা তো করাই হয়নি। উপরন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ডালনপ বিক্রি করার যে পরিকল্পনা নিয়েছে, হুগলির সপ্তগ্রামের ডানলপ গ্রাউন্ড থেকে নির্বাচনী জনসভায় বিজেপির এই জনবিরোধী নীতির বিরোধিতায় গর্জে তৃণমূল সুপ্রিমো উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিববারই হুগলিতে নির্বাচনী জনসভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। নির্বাচনী প্রচারে এলে প্রধানমন্ত্রীকে বিল আটকে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তোলার দাবি জানালেন সাধারণ মানুষের কাছে। শনিবার তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

হুগলির ডানলপ কারখানা বন্ধ বাম আমল থেকে। ক্ষমতায় আসার পরে ২০১৪ সাল থেকে সেই কারখানা খোলার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল সরকার। অধিগ্রহণ করার জন্য রাজ্য বিলও পাশ করেছে। কিন্তু কেন্দ্রের একটা ‘হ্যাঁ’-র অভাবে আজও সেই অধিগ্রহণ সম্ভব হয়নি। সেই অভিযোগ তুলে বিজেপির সরকারের মুখেশ খুলে মমতা দাবি করেন, “আমার বিধানসভায় বিল পাশ করি ডানলপ আর জেশপ কোম্পানী আমরা রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ রতে চাই। আমরা নিয়ে চালাতে চাই। আমাদের অনুমতি দেওয়া হোক। কেন্দ্র সরকার আজ পর্যন্ত কোনও আজ পর্যন্ত কোনও অনুমতি দেয়নি। দুবার বিল পাশ করে পাঠানো হয়েছে।”
বিজেপির অনুমতি না দেওয়ার পিছনেও আসল উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “দেয়নি কারণ সংস্থার মালিক ভাজপা ওয়াশিং মেশিনে ধোয়া লোক। গরীব লোকেদের দিকে দেখার দরকার নেই।” সেই সঙ্গে ডানলপ নিয়ে বিজেপি যে চক্রান্ত করে চলেছে তারও পর্দাফাঁস করেন মমতা। তিনি বলেন, “এখনও অনুমতি দিতে পারে। অধিগ্রহণ দিল্লির আইন। আমার আইন হলে একদিনেই করে দিতাম। অধিগ্রহণও করতে দেবে না। আর জায়গা বিক্রি করে দেবেন। যন্ত্রপাতি বিক্রি করে দেবেন। মাফিয়া চক্র চালাবেন। এটা হতে পারে না।”

রবিবার হুগলি কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে ২০২১ সালে ডানলপ গ্রাউন্ডে সভা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার আর তাঁর হুগলির সভাস্থল ডানলপ গ্রাউন্ডে স্থির করা হয়নি। কিন্তু হুগলিতে প্রধানমন্ত্রী এলেই তাঁকে ডানলপ নিয়ে প্রশ্ন করার কথা শনিবার ডানলপ গ্রাউন্ড থেকে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
