আজ, সোমবার গোটা দেশের মতো এ রাজ্যের ৮টি আসনে চলছে ভোট গ্রহণ। যার মধ্যে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কেন্দ্রটি প্রকৃত অর্থেই নজরকাড়া। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী দিলেও লড়াই মূলত কংগ্রেস আর তৃণমূলের মধ্যে। যেখানে পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়ছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। বহু বছর পর এবার বেশ চাপে অধীর। যার জন্য তিনি প্রচার পর্বেও মেজাজ হারিয়েছিলেন। ভোটের দিনও মেজাজ হারাতে দেখা গেল তাঁকে। বেশকিছু বুথে অধীরকে “গো ব্যাক” স্লোগানও শুনতে হয়।

অন্যদিকে, এদিন ভোট চলাকালীন পুলিশের তরফ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরে বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ির সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে জোর বিতর্ক শুরু হয়। দুপুরে বহরমপুরের খাগড়া এলাকায় একটি বুথ পরিদর্শনের সময় কিছু জনতা অধীর চৌধুরীর গাড়ির কনভয়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তাদের অভিযোগ ছিল অধীর চৌধুরী প্রায় ৩০টি গাড়ির কনভয় নিয়ে চলছেন। এর ফলে শহরের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে।
এই ঘটনার কিছু পরে বহরমপুর পুরসভা এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বুথ পরিদর্শন করার সময় মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার ডিএসপি (ডিএনটি) সুশান্ত রাজবংশী, অধীর চৌধুরীকে গিয়ে জানান এরপর থেকে তাঁকে ঘুরতে হলে নিজের সুরক্ষা বাহিনীর গাড়ির সংখ্যা কমাতে হবে। অধীর চৌধুরীকে ওই আধিকারিক জানিয়ে দেন -অধীর চৌধুরীর নিজের গাড়ি ছাড়া আর মাত্র একটি নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি তাঁর সঙ্গে যেতে পারবে।

এ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, “আমার নিরাপত্তা মূল দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রের বাহিনী আমাকে নিরাপত্তা প্রদান করে এবং তাদের গাড়িটি আমার সঙ্গে থাকে। কেন্দ্র সরকার নিরাপত্তার যে ব্যবস্থা করেছে সেই অনুযায়ী আমার গাড়ির সামনে এবং পেছনে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি করে গাড়ি থাকে। তার মধ্যে রাজ্য সরকারেরও একটি গাড়ি থাকে।”

ভোটের দিন হঠাৎই নিরাপত্তা বাহিনী গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে দিলে নিজের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে মন্তব্য করে অধীর চৌধুরী বলেন,” আমার নিরাপত্তা নিয়ে এখানকার সরকার চিন্তিত নয়। আমি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ভরসায় ভোটযুদ্ধে নেমেছি।”
