এবার গোয়েঙ্কা-রাহুল বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সেহবাগ

এই নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে সেহবাগ বলেন, “ মালিকদের ভূমিকাই হল ক্রিকেটারদের মোটিভেট করা। কিন্তু

এবার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা-কেএল রাহুল বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহবাগ। সম্প্রতি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হারের পর প্রকাশ্যে রাহুলকে ভর্ৎসনা করেছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়ে রাহুলকে হাত নেড়ে নেড়ে অনেক কিছু বোঝাতে থাকেন। তাঁর আচরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল দলের এই হারে তিনি খুশি নন। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দাপটের সামনে রাহুল কিছু বলতেই পারেননি। তিনি চুপচাপ মাথা নীচু করে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই ঘটনা একেবারেই ভালোভাবে নেননি সেহবাগ। বললেন, এরকম আচরণ করলে ক্রিকেটাররা দল ছেড়ে চলে যাবেন।

এই নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে সেহবাগ বলেন, “ মালিকদের ভূমিকাই হল ক্রিকেটারদের মোটিভেট করা। কিন্তু দলের মালিক এগিয়ে এসে যদি কাউকে জিজ্ঞাসা করেন, কী হচ্ছে? সমস্যাটাই বা কোন জায়গায়? দলের কাউকে হঠাৎ করে ধরে নির্দিষ্ট কোনও ক্রিকেটার সম্পর্কে যদি প্রশ্ন করে বসেন। কোচ এবং অধিনায়ক দল পরিচালনা করেন। দল পরিচালনা বা দল সংক্রান্ত অন্য বিষয়ে মালিকদের কথা বলাই উচিত নয়।“

এখানেই না থেমে বীরু বলেন, “ এঁরা প্রত্যেকেই ব্যবসায়ী। তাঁরা কেবল লাভ-ক্ষতি বোঝে। এখানে তো ক্ষতি নেই। তাহলে তাঁদের কী নিয়ে এত চিন্তা? মালিকরা ৪০০ কোটি টাকা লাভ করছে। এটাই একমাত্র ব্যবসা যেখানে মালিকপক্ষকে কিছু করতে হয় না। কাজ সামলানোর জন্য প্রতিটি বিভাগে লোক নিয়োগ করতে হয়। তাঁরাই কাজ করেন। যাই হোক না কেন, যা খুশি হয়ে যাক, মালিক পক্ষ কেবল লাভেরই মুখ দেখেন। মালিকের এক ও একমাত্র কাজই হল ক্রিকেটারদের মোটিভেট করা। যদি কোনও ক্রিকেটার মনে করেন, অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়েছে। আমি এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ছেড়ে দেব। আমি এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ছেড়ে দিলে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি আমাকে দলে নিয়ে নেবে। ভালো প্লেয়ার হারালে জেতার সম্ভাবনা কমে যায় অনেকটাই। আমি ছেড়ে দেওয়ার সময়ে পাঞ্জাব পঞ্চম স্থানে ছিল। অন্য মরশুমে ওরা কখনওই পঞ্চম স্থানে আসতে পারেনি।“

আরও পড়ুন- চিপকে কি এটাই ছিলো ধোনির শেষ ম্যাচ? মুখ খুললেন মাহির সতীর্থ

Previous articleদুপুর ৩টে পর্যন্ত বাংলায় ভোটের হার ৬৬.০৫ শতাংশ, শীর্ষে বোলপুর
Next articleহানিমুন ট্যুরে হট এয়ার বেলুনে অনুপম- প্রশ্মিতা!