বড়মার ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছন শান্তনু, ঠাকুর বাড়িতে আমরণ অনশনে মমতাবালার কন্যার

তাঁর সঙ্গে অনেক মতুয়া ভক্তরাও এই অন্যায়ের সুবিচার চেয়ে অনশন করছেন। সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুরও।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যায়ভাবে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘর থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজের অধিকারের লড়াইয়ে আমরণ অনশনে বসলেন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর।
পৈতৃক ভিটে ফিরে পাওয়ার দাবিতে ঠাকুরনগর মতুয়া ঠাকুর বাড়িতেই এই আমরণ অনশন চালাচ্ছেন মমতাবালার মেয়ে! তাঁর সঙ্গে অনেক মতুয়া ভক্তরাও এই অন্যায়ের সুবিচার চেয়ে অনশন করছেন। সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুরও।

সম্প্রতি বনগাঁর বিদায়ী সংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর রাতের বেলায় বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘরের তালা ভেঙে ঢুকতে দেখা যায়। অন্যায়ভাবে উচ্ছেদের পর ঘরে তালা দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। বড়মা বীণাপানি দেবীর পাশের ঘরে থাকতেন মমতা ঠাকুর ও তার মেয়ে মধুপর্ণা। এই ঘটনায় মমতাবালা ঠাকুর অভিযোগ তুলেছিলেন, শান্তনু ঠাকুর ঘর থেকে তাঁকে বিতাড়িত করেছেন। তাই পৈতৃক ভিটেতে নিজেদের বাসস্থান ফিরে পেতে, বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘরের পাশে একটি খাটিয়া পেতে অনশনে বসেছেন মধুপর্ণা ঠাকুর।

মধুপর্ণা প্রশ্ন তোলেন, ‘মেয়ে বলে কি নিজের পৈতৃক ভিটে কোনও অধিকার থাকবে না? সেখানে তাঁরা থাকতে পারবেন না? ঠাকুমা তথা মতুয়া বড় মা বীণাপাণি দেবীর ঘর অন্ধকার, অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। পুজো দেওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতে বাচ্চা আছে। তারাও ঘরে ঢুকতে পারছে না।

মেয়ের এই যুক্তিকে সমর্থন করেছেন মা মমতাবালাও। শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতাবালার অভিযোগ, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াওয়ের কথা বলেন। কিন্তু তাঁর দলেরই সাংসদ ঠাকুরবাড়ির উপরে চরম অত্যাচার শুরু করেছেন। গত মাসের ৭ তারিখে শান্তনু ঠাকুর তাঁর দলবল নিয়ে আমার ঘরে ও বড়মার ঘরে তালা ভেঙে তালা দিয়েছেন, তাই প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের মেয়েরা তাদের ঘরে ঢুকতে পারছে না। বঞ্চিত হওয়ার পরে তাঁরা আমরণ অনশনে বসেছেন।”





 

Previous articleটিকিট পাননি মোদির প্রাক্তন মন্ত্রী, ছেলে যোগ দিল কংগ্রেসে!
Next articleভিড়ে ঠাসা স্টেশনে মহিলাকে ছুরিকাঘাত! তুমুল চাঞ্চল্য হাওড়ায়