মার্কস-লেনিনের আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়েছে CPIM!পুঁজিবাদের বিরুদ্ধেই লড়াইয়ের বার্তা SUCI-র

“আমরা নির্বাচনে (Loksabha Election) যোগদান করি জেতার জন‌্য। বেশি ভোট পাওয়ার জন‌্য। যখন লড়ি সেভাবেই লড়ি।” চব্বিশের নির্বাচনে বামপন্থী দলগুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি আসনে প্রার্থী দিয়ে এমনটাই বক্তব‌্য এসইউসির (SUCI) রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্যের (Chandidas Bhattacharya)। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, যে দলই জিতুক না কেন, দেশে উৎপাদন ব‌্যবস্থার মালিক যারা তাঁদের কখনও কোনও পরিবর্তন হয় না। রাষ্ট্রক্ষমতার সঙ্গে লড়াইয়ে তার পরিবর্তন সম্ভব।

তবে বারবার তাঁর বক্তব্যে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধেই তাঁদের আসল লড়াই সেকথা মনে করিয়ে দেন দলের রাজ্য সম্পাদক। তিনি বলেন, মনে রাখবেন পুঁজিবাদী শ্রেণী নির্বাচন ব‌্যবস্থা এনেছে। তারাই গণতান্ত্রিক ব‌্যবস্থা রেখেছে, ভোটের অধিকার রেখেছে। অর্থনৈতিক ব‌্যবস্থার উপর নির্ভর করে যে রাষ্ট্রব‌্যবস্থা সবার আগে তার পরিবর্তন দরকার। সেই পথে যেতে হলে লাগাতার লড়াই ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। এছাড়াও পুঁজিবাদীদের বিরুদ্ধে বিপ্লবাত্মক পরিবর্তনই একমাত্র মুক্তির পথ বলে মনে করেন তিনি। তবে দলে আগের সেই দাপট আর নেই। আর সেকারণেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয়ের মুখ দেখা প্রায় মরিচীকার সমান‌। তবুও একেবারেই আশাহত না হয়ে এসইউসিআইয়ের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসতে চাইলে সেটা আজকেই চাইব। তবে তা নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে নয়।

পাশাপাশি সিপিএমের (CPIM) সঙ্গে তাঁদের মূল পার্থক্য হল দলের আদর্শ বলেও মন্তব্য করেন চণ্ডীদাস। তিনি বলেন, আমাদের দলের একজনও জিতলে আমরা গণকণ্ঠকে নিয়ে চলব। মানুষের আন্দোলনকে সবসময়। তবে তাঁর আক্ষেপ সিপিএম মার্কস, লেনিনের আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়েছিল বলেই এতদিন রাজত্ব করতে পেরেছে। পুঁজিপতি শ্রেণি তা না হলে তাঁদের কিছুতেই টিকতে দিত না। অন্যদিকে তাঁর কথায় আমাদের টাকা দেবেই বা কে? কোনও কর্পোরেট হাউসও আমাদের চাঁদা দেয় না। আমরা হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনে দাঁড়িয়ে, ট্রেনে চড়ে মানুষের কাছে চাঁদা তুলি। গণদাবী বিক্রি করি বাড়ি বাড়ি গিয়ে। কিন্তু সিপিএম নির্বাচনী বন্ডে টাকা নেয়নি ঠিক। কিন্তু কর্পোরেট হাউস তো চাঁদা দিয়েছে। সিপিএমের কর্মী বন্ধুরা দুঃখ পেলেও এটা বাস্তব যে, কর্পোরেট হাউস তাদের চাঁদা দেয়।

তবে এখানেই শেষ নয় এদিন রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটও ফলপ্রসূ হচ্ছে না বলে মত তাঁর। তিনি বলন, বিমানবাবু আর প্রদীপবাবু যেদিন প্রচারে বেরিয়েছিলেন তারপর দিনই অনেক জায়গায় বাম কর্মী-সমর্থকরা উষ্মা প্রকাশ করেছেন। বিমানবাবু না বেরলেই পারতেন। পুরনো বামপন্থী যারা কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করেছেন, তাদের পক্ষে এই জোট মেনে নেওয়া মুশকিল।

Previous articleক্ষমা চাইতে হবে সলমান খানকে, দাবি তুললো বিষ্ণোই গ্যাং!
Next articleহাওড়ায় জনপ্লাবনে জননেত্রী, সব নেতৃত্বকে একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা