আপাতত নতুন মামলায় গ্রেফতার নয়, জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে মাম্পিকে

সন্দেশখালির ঘটনায় বহু অভিযোগে বার বার উঠে এসেছে মাম্পির নাম

সন্দেশখালির পিয়ালী ওরফে মাম্পি দাসের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে ১২ দিনের জেল হেফাজত ও নতুন মামলায় গ্রেফতারের আবেদন করেছিল পুলিশ। কিন্তু হাই কোর্ট জানিয়ে দিল শনিবার পর্যন্ত নতুন কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই মামলা ওঠার কথা ছিল। কিন্তু এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলা শোনা হয়।
শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। আত্মসমপর্ণ করে জামিনের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস। পুলিশের তরফে নিম্ন আদালতে আরও মামলা যুক্ত করার আর্জি জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মাম্পি দাসের আইনজীবী। তিনি বলেন, আমার মক্কেল আদালতে জামিন চাইতে গিয়েছিল। সেখানে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরই রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্য জানতে চান বিচারপতি।
সন্দেশখালির ঘটনায় বহু অভিযোগে বার বার উঠে এসেছে মাম্পির নাম। তার মধ্যে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অসত্য মামলা রুজু করানোর মতো অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি, সন্দেশখালির এক গৃহবধূও সেই অভিযোগ করেন সন্দেশখালি থানায়। পুলিশকে তিনি জানান, তাঁর গ্রেফতার হওয়া ভাইকে ছাড়ানোর শর্তে ধর্ষণের অসত্য অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলেন এই মাম্পি। পরে অভিযোগ তুলে নিতে চাইলে বিজেপির তরফে তাঁকে শাসানোও হয়। মাম্পি ওরফে পিয়ালির নাম শোনা গিয়েছিল সন্দেশখালির ‘স্টিং’ ভিডিয়োতে, গঙ্গাধর কয়ালের মুখেও। একের পর এক অভিযোগ আসায় গ্রেফতারি এড়াতে বসিরহাট আদালতে অগ্রিম জামিন চাইতে গিয়েছিলেন মাম্পি। আদালত তাঁকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাই কোর্টে মামলা করেন মাম্পি।





Previous articleইভিএমে কারচুপি সহ একাধিক অভিযোগে কমিশনে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ
Next articleমোদির জেলখানায় থাকতে না চাইলে সব ভোট জোড়াফুলে: এগরা থেকে তোপ মমতার