প্রিয়াঙ্কাই ‘কি ফ্যাক্টর’! আমেঠিতে সোনিয়া কন্যাকে নিয়ে মাথাব্যথা বাড়ছে স্মৃতির

“প্রিয়াঙ্কাই (Priyanka Gandhi) তাঁকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন”। ভোটের আগে সোনিয়া (Sonia Gandhi) কন্যার কাছে রীতিমতো পরাজয় স্বীকার করে নিলেন প্রার্থী তথা আমেঠির বর্তমান সাংসদ স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। নির্বাচনী প্রচারে আগে থেকে অনেক লাফালাফি করলেও ভোট সামনে আসতেই একেবারে সুর নরম স্মৃতির। ভোটের বাকি আর মাত্র কিছু ঘণ্টা। তার আগে স্মৃতি একপ্রকার প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিলেন প্রিয়াঙ্কা তাঁকে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন। পাশাপাশি একাধিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আমেঠিতে বিজেপির পায়ের তলার মাটি খুব একটা শক্তপোক্ত নয়। তার উপর প্রিয়াঙ্কার ঝটিকা প্রচার সেরাজ্যে বিজেপির জন্য রীতিমতো ভয়ের হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রত্যাশা ছিল শেষমেশ আমেঠিতে (Amethi) প্রার্থী হবেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু বিজেপির সেই প্রত্যাশার ফানুস ফুটো করে পাশের কেন্দ্র রায়বেরলিতে প্রার্থী হন সোনিয়া তনয়। এবছর আমেঠিতে কংগ্রেসের প্রার্থী গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ কিশোরীলাল শর্মা। কিন্তু তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাঁর গড় সামলাচ্ছেন খোদ প্রিয়াঙ্কাই। নাওয়া খাওয়া ভুলে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ওই দুই কেন্দ্রে মাটি কামড়ে পড়ে আছেন। আগামী ২০ মে দুই কেন্দ্রে ভোট। সূত্রের খবর, ১৮ মে বিকালে প্রচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত না আমেঠি, রায়বেরলি ছাড়ছেন না সোনিয়া কন্যা। তবে প্রিয়াঙ্কার এই নাছোড়বান্দা মনোভাবকেই ভয় পাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি।

গতবার রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এরপর রাহুলও কেরলের ওয়ানাড আসন থেকে লড়াই করেন এবং সংসদে যান। তবে এবার রাহুল অমেঠির পরিবর্তে মা সোনিয়ার ছেড়ে যাওয়া আসন রায়বেরলিকে বেছে নিয়েছেন তিনি। মূলত প্রিয়াঙ্কার সভায় উপচে পড়া ভিড় এবং তাঁর প্রার্থী না হওয়া নিয়ে চিন্তা বাড়ছে বিজেপির, চিন্তায় পড়েছেন স্মৃতিও। ভোটে জিতে আমেঠিকে যতটা সময় দেবেন বলেছিলেন তা দেননি। আমেঠির উন্নয়নও আশানুরূপ কিছুই হয়নি। আর সেকারণেই প্রিয়াঙ্কার উপস্থিতি তাঁকে বেজায় বিপদে ফেলেছে। কিশোরী লাল শর্মা প্রার্থী হলেও মানুষ প্রিয়াঙ্কাকে দেখেই যে কংগ্রেসকে ভোট দেবে, এটা মোটের উপর পরিষ্কার। আর সেকারণেই কি যুদ্ধের আগেই বশ্যতা স্বীকার করলেন স্মৃতি? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি আগে থেকে বলে রাখলেন ফল যাই হোক না কেন তিনি লড়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে। আর সেকারণেই স্মৃতি হেরে গেলে বলতে পারবেন, গান্ধী পরিবারের একজনকে হারিয়েছেন আর একজনের কাছে হেরেছেন। তাতে কিশোরী লাল শর্মার মতো স্থানীয় নেতার কাছে হারের গ্লানি কিছুটা হলেও আড়াল করা যাবে।

Previous articleসুপ্রিম রায়: মামলা চললে অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি
Next articleনন্দীগ্রামে ভোট-প্রতারণার বদলা নেবই! হুঙ্কার মমতার, নাম না করে শিশির-শুভেন্দুকে তুলোধনা