শ্যাম রঙ্গীলা , একজন কমেডিয়ান। তার ‘মিমিক্রি’র জন্য তিনি যথেষ্ট পরিচিত। বারাণসী লোকসভা আসনের জন্য তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে প্রয়োজনীয় হলফনামা জমা দিতে না পারায়। ১৪ মে, তিনি তার মনোনয়ন দাখিল নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তবে একদিন পর ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর গলা নকল করে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন শ্যাম। কিন্তু ‘মিমিক্রি’ করা বন্ধ করেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় মূলত এই কারণেই তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। ইউটিউবে ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবার তাঁর। বারাণসীতে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মোদির বিরুদ্ধে লড়লে সেই কেন্দ্র নিয়ে যে অন্যরকম চর্চা হত তা বলাই যায়। কিন্তু তেমনটা হওয়ার আর সুযোগ নেই। একদিন আগে, শ্যাম রঙ্গেলা দাবি করেছিলেন যে ১০ মে থেকে তিনি মনোনয়ন জমা দেওয়ার চেষ্টা করা সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী মোদি যেদিন তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সেদিন তাকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি । তিনি বলেন, জয়-পরাজয় আলাদা বিষয়, তবে আমি যে কোনও মূল্যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়তে চাই। আমি বিখ্যাত হওয়ার জন্য নির্বাচনে লড়ছি না, আমি এমনিতেই জনসাধারণের কাছে খুবই পরিচিত।
কংগ্রেস নেতা সুরেন্দ্র রাজপুত শ্যাম রঙ্গেলাকে সমর্থন করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদি সহ সকলের মনোনয়ন জমা দেওয়ার অধিকার রয়েছে। রাজপুত দাবি করেন, প্রশাসন রঙ্গিলাকে প্রয়োজনীয় মনোনয়নপত্র দিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী মোদি সহ সকলেই মনোনয়ন দাখিল করার জন্য স্বাধীন। তবে, অন্য লোকদের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বারাণসী থেকে মনোনয়ন দাখিল করতে ইচ্ছুক একজন ইউটিউবার (শ্যাম) রঙ্গেলা মনোনয়নপত্র পাচ্ছেন না।শ্যামের আরও দাবি, প্রথমবার তিনি মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে সব নিয়মমাফিক করার পরেও তাঁর মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
