‘পরিবারের কথা চিন্তা করলে খারাপ লাগে’! স্বেচ্ছামৃত্যুর আগে কী বললেন তরুণী?

নেদারল্যান্ডসে (Netherlands) স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের (voluntary Death) অনুমতি পেয়েছেন এক তরুণী। জোরায়া টার বিক নামের ওই তরুণী ২০২০ সালের ডিসেম্বরে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন করেন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে তাঁর আবেদন মঞ্জুর হয়েছে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিজের বাড়িতে মৃত্যুবরণ করবেন তিনি। জোরায়া বিক অনেকদিন ধরেই মানসিক রোগে ভুগছেন। তার মধ্যে সবসময় বিষন্নতা, হতাশা, ভয় কাজ করে। এ কারণে ইচ্ছে করে তিনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে চান।

নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকেই স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের আইন রয়েছে। তবে স্বেচ্ছায় মৃত্যবরণে যারা আগ্রহ দেখান তাঁদের কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় পুরোটা সম্পন্ন হবে তা নিজেই জানিয়েছেন এই তরুণী। তিনি বলেছেন, প্রথমে ঘুমের ওষুধ দিয়ে শুরু হবে। আর যতক্ষণ পর্যন্ত কোমাতে চলে যাচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমাকে হার্টের কার্যকারিতা বন্ধের কোনও ওষুধ দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন আমার জন্য বিষয়টি এমন হবে যেন আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। আমার পার্টনার আমার সঙ্গে সেখানে থাকবেন। তবে তাঁকে আমি বলেছি আমার মৃত্যুর আগের মুহূর্তে সে চাইলে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারবে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, মৃত্যুর কথা চিন্তা করলে ভয় লাগে। কিন্তু পরিবারের কথা চিন্তা করলে খারাপ লাগে। তবে তিনি সব জেনে বুঝেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি চাইলে যে কোনো মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারবেন। টার বিক আরও জানিয়েছেন, লোকে মনে করে মানসিকভাবে অসুস্থ কেউ ঠিকমতো চিন্তা করতে পারে না। এই ভাবনা অপমানজনক। তবে টার বিকের কষ্টের শুরুটা ছোট থেকেই। তিনি ক্রনিক ডিপ্রেশন, উদ্বেগ, ট্রমা ও আনস্পেসিফাইড পারসোনালিটি ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। তার অটিজমও রয়েছে। প্রেমিকের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর টার বিক ভেবেছিলেন তার সঙ্গে নিরাপদে থাকতে থাকতে একসময় তিনি সেরে উঠবেন। কিন্তু উল্টে তাঁর ভেতরে আত্মহত্যাপ্রবণতা আরো বাড়তে থাকে।