Sunday, August 24, 2025

১০১ বছরে পা দিয়ে তিনি যে বাড়িতে বসেই ভোট দিতে পারবেন, ভাবতে পারেননি চুঁচুড়ার কপিডাঙার বাসিন্দা প্রিয়বালা কুণ্ডু। বৃহস্পতিবার ঠিক সেটাই হল।

এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বাড়ি থেকে ভোট দানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়ঃসীমা ৮৫ করা হয়েছে। তবে, গত বার বিধানসভা নির্বাচনে আবেদন করতে দেরি হওয়ায় ভোট দিতে পারেননি প্রিয়বালা। উল্লেখ্য, বাড়িতে ভোটদানে ইচ্ছুকদের ১২ডি ফর্ম পূরণ করে সম্মতি জানাতে হয় নির্বাচন কমিশনে। প্রশাসন এই সুবিধা দিতে প্রস্তুতি চালাচ্ছিল কিছু দিন ধরে। সম্মতি দেন বৃদ্ধা।
তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন দু’জন পোলিং অফিসার, বিএলও, পুলিশকর্মী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ক্যামেরার নজরদারিতে।
২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে শেষ বার তিনি ভোট দিয়েছিলেন।তার পর অজ্ঞাত কারনে ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাদ পড়ে।ভোটার কার্ড থাকলেও তালিকায় নাম না থাকায় ভোট দিতে পারতেন না।ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অনেক চেষ্টা করেন বৃদ্ধার নাতিরা।কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।অবশেষে গত ২৫ শে জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবসের দিন বিষয়টি জানতে পারেন সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা।তিনি বৃদ্ধার বাড়ি আধিকারীকদের পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যবস্থা করেন।নতুন এপিক হাতে পান বৃদ্ধা।

ভোটার কার্ড থাকলেও তালিকায় নাম না থাকায় ভোট দিতে পারতেন না।ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অনেক চেষ্টা করেন বৃদ্ধার নাতিরা।কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।

দীর্ঘদিন পর ভোট দিতে পেরে যারপরনাই খুশি বৃদ্ধা।একশ বছর পেরিয়েছে কানে একটু কম শোনেন ভালো হাঁটাচলাও করতে পারেন না।তবে তার ইচ্ছা ছিল শেষ বয়সে একবার ভোট দেবেন।সেই ইচ্ছাপূরণ হয়েছে।
বৃদ্ধার নাতি সঞ্জয় কুন্ডু বলেন,ঠাকুমা ভোট দিতে পারতেন না।তালিকায় নাম তুলতে অনেক চেষ্টা করেছি।অবশেষে ঠাকুমা ভোট দিতে পারলেন।ঠাকুমার রেশনও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।প্রশাসন ভেবেছিল হয়ত ঠাকুমা মারা গিয়েছেন।উনি যে বে়ঁচে আছেন তা আজ ভোট দিয়ে প্রমাণ করলেন।

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version