অধীরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই খাড়গের ছবিতে কালি! পরে দায় এড়ানোর চেষ্টা

অধীর চৌধুরি নিজে তৃণমূলের বিরোধিতা করা থেকে সরে না আসার স্পষ্ট ঘোষণা করেন। এমনকি নিজেকে হাইকম্যান্ডের লোক বলেও ঘোষণা করেন

অধীর চৌধুরি হাইকম্যান্ডের কথা মেনে না চললে তিনি বাইরে যাবেন। কংগ্রেস সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরিকে সেন্সর করতেই বাংলার অধীরপন্থীরা সরব হতে শুরু করেন খাড়গের বিরোধিতায়। কেউ দলের প্রতি অধীরের দায়িত্ববোধের উদাহরণ তোলেন, আবার অনেকে স্পষ্ট করে দেন তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সমঝোতায় অধীরপন্থীরা থাকবেন না। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শনিবারই স্বাগত জানানো হয় খাড়গে তথা কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বক্তব্যকে। যদিও বিলম্বিত বোধোদয় বলে কটাক্ষও করা হয়। তবে রবিবার সকালেই কংগ্রেস দফতরে মল্লিকার্জুন খাড়গের ছবিতে কালি লেপার পর তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকার চেষ্টা প্রদেশ কংগ্রেসের।

রবিবার বিধান ভবনেই কংগ্রেসের হোর্ডিংয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গের ছবিতে কালি লেপা দেখা যায়। কংগ্রেস কর্মীরা ঘটা করে সেই কালি মুছতেও আসেন। নির্বাচনী আবহে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ঢাকতে গোটা দোষটাই চাপানো হয় তৃণমূলের ঘাড়ে। কলকাতার নির্বাচন হতে এখনও বেশ কিছুদিন বাকি। সেই পরিস্থিতিতে শহরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইতে নামা কংগ্রেস কোনওভাবেই তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারবে না। শনিবারই মল্লিকার্জুন খাড়গে তৃণমূলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। প্রয়োজনে দল থেকে তৃণমূল বিরোধী কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরিকে ছেঁটে ফেলতেও দ্বিধা করবে না কংগ্রেস, এমনটাও স্পষ্ট করেন খাড়গে।

খাড়গের এই বক্তব্যের পরেই অধীর চৌধুরি নিজে তৃণমূলের বিরোধিতা করা থেকে সরে না আসার স্পষ্ট ঘোষণা করেন। এমনকি নিজেকে হাইকম্যান্ডের লোক বলেও ঘোষণা করেন। এই পরিস্থিতিতে রবিবার এমন ব্যানারগুলিতে কালি লেপা হয় যেখানে রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীরও মুখ রয়েছে। সেখানে কালি লেপা না হলেও বেছে বেছে খাড়গের মুখেই কালি লেপা হয়। সেখান থেকেই স্পষ্ট কোন রাগে কারা এই কীর্তি ঘটিয়েছে। তবে তৃণমূলকে দোষ দেওয়ার কংগ্রেসের এবারের চালু টেকনিক ধোপে টেকেনি, দাবি রাজনীতিকদের।

Previous articleগায়ে জড়ানো তার, অস্বাভাবিক মৃত্যু হাতির! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
Next articleকমিশনের গালে ‘চড় মেরে’ পরপর আটবার! যোগীরাজ্যে বিজেপিতে নাবালকের ভোট