খাড়গের ছবিতে কেন কালি? কংগ্রেস হাইকমান্ডের তোপের মুখে অধীর বাহিনী

বাংলায় সদর দফতর বিধান ভবনের বাইরে কংগ্রেস সভাপতির ছবিতে ছেটানোর ঘটনায় রিপোর্ট চাইল এআইসিসি।

I.N.D.I.A জোট সঙ্গী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য ও ক্রমাগত তৃণমূল বিরোধিতার জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে সতর্ক করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। অধীরের উপর কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেই খাড়গে বলেছিলেন, অধীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নন। কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য হাইকমান্ড রয়েছে। হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত পছন্দ না কারও পছন্দ না হলে তিনি বেরিয়ে যেতে পারেন। কংগ্রেস সভাপতির এমন মন্তব্যের পর শোরগোল পড়ে যায়।

এরপর মৌলালিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস দফতরের সামনে রাতের অন্ধকারে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ছবি লাগানো হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলা ও কালি ছিটিয়ে দেয়। বাংলায় সদর দফতর বিধান ভবনের বাইরে কংগ্রেস সভাপতির ছবিতে ছেটানোর ঘটনায় রিপোর্ট চাইল এআইসিসি। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কাছে একটি রিপোর্ট চেয়েছেন।

প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী ও রাজ্যের দায়িত্বে থাকা পর্যবেক্ষকের কাছে বেণুগোপাল রিপোর্ট চেয়ে বলেছেন, “এটা আমাদের নজরে এসেছে যে দলের কয়েকজন পদাধিকারী এবং কর্মী সোশ্যাল মিডিয়াতে মাননীয় কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে কিছু অমানবিক মন্তব্য করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস দফতরের বাইরে হোর্ডিং ভাঙচুরও চালিয়েছে কিছু দুষ্কৃতী। এতে দলের লাখো কর্মী-সমর্থকের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। এ ধরনের গুরুতর দলবিরোধী কর্মকাণ্ডকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রকাশ্যে এই ধরনের অবাধ্যতা এবং শৃঙ্খলাহীনতার প্রদর্শনকে সহ্য করবে না। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদককে অবিলম্বে এই চরম শৃঙ্খলাভঙ্গের কাজের একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”