Monday, November 10, 2025

প্রধানমন্ত্রীর ২০ হাজার কোটির বাড়ি বিক্রি করেই মানুষের টাকা শোধ: অভিষেক

Date:

Share post:

তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গাড়ি বিক্রি করার হুমকি দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বিষ্ণুপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি বিক্রি করে মানুষের টাকা শোধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে রাখার ফল ৪ জুন নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিরোধী জোটের সরকার গঠন হলেই প্রত্যক্ষ করতে পারবেন নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি, দাবি অভিষেকের। সাধারণ মানুষকে তিন বছর ধরে বঞ্চিত করে রেখে মোদির সরকার সেই টাকা কোথায় খরচ করেছে, সেই তথ্যও বিষ্ণুপুরের জনসভা থেকে সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে দেন তিনি।

বাংলার বঞ্চনার প্রতিবাদ করে আসা তৃণমূলকে দিল্লির দরবার থেকেও খালি হাতে ফিরিয়ে ছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। এরপরেও বাংলার মানুষের প্রাপ্য টাকা তৃণমূল সরকারই মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে বিষ্ণুপুরে এসে নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন তৃণমূলনেতাদের বাড়ি গাড়ি বিক্রি করে মানুষকে সেই টাকা দেবেন তিনি। অথচ বাংলার একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা ফেরৎ দেওয়া নিয়ে একটি কথা শোনা যায়নি তাঁর মুখে। এবার সেই প্রাপ্য ফেরতের দাবি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন প্রধানমন্ত্রীর তৈরি ২০ হাজার কোটির বাড়ি বিক্রি করে তিনি মানুষের টাকা ফেরৎ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর পথেই তাঁর কথা কার্যত ফিরিয়ে দেন অভিষেক। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দুদিন আগে বিষ্ণপুরে সভা করে বলেছে তৃণমূল নেতাদের ঘর বিক্রি করে আমি টাকা দেব। জানেন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি যদি বিক্রি করা হয় কত মানুষ উপকৃত হবে? আপনাদের বাড়ির জন্য রাজ্য সরকার আপনাকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে চায়। নরেন্দ্র মোদির সরকার আটকে দিয়েছে। আর দেশের প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি হচ্ছে দিল্লিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা। খরচা করছে ২০ হাজার কোটি টাকা। আগামীদিন সেটা বিক্রি করে বাংলার মানুষের হাতে ২০ লক্ষ মানুষকে আমরা টাকা তুলে দেব।”

বিষ্ণুপুরের সভা থেকে বিজেপির প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নষ্ট করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন অভিষেক। মঙ্গলবার তিনি সৌমিত্র খাঁ সহ বিজেপি সাংসদদের তোপ দেগে মানুষকে মনে করিয়ে দেন, “আপনারা বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলেন। আর টাকা মিটিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার যদি বিজেপির প্রার্থী জেতে তাহলে আগামীদিন যদি আপনার মুখ থেকে খাবার কেড়ে নিয়ে চলে যায়, তৃণমূল কিন্তু আপনাদের পাশে দাঁড়াবে না।” সেই সঙ্গে তিনি বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের এক একটি বিধানসভা ধরে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেন যেখানে বিজেপি জেতার পরেও রাজ্যের পরিষেবা থেকে কেউ বঞ্চিত হননি।

spot_img

Related articles

ধর্মীয় বই কিনতে গিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদে কলকাতা ইসকন! গ্রেফতার ১ 

ধর্মীয় বই কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হল কলকাতা ইসকন। অভিযোগ, অর্ডার অনুযায়ী...

বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের সৌজন্যে হারানো পুলিশের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা

কয়েকদিন আগেই আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ(ICC World Cup)  জিতেছে ভারতীয়  মহিলা দল। মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবারা। তবে বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের...

গ্যাস-সমস্যায় নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বে স্বীকৃতি বাঁকুড়ার চিকিৎসকের

একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে জর্জরিত বর্তমান যুবসমাজ থেকে শিশুরা পর্যন্ত। গ্যাস বা গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য...

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বাড়তে পারে আসন সংখ্যা, জানালো এসএসসি 

রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী,...