Sunday, May 4, 2025

প্রধানমন্ত্রীর ২০ হাজার কোটির বাড়ি বিক্রি করেই মানুষের টাকা শোধ: অভিষেক

Date:

Share post:

তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গাড়ি বিক্রি করার হুমকি দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বিষ্ণুপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি বিক্রি করে মানুষের টাকা শোধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে রাখার ফল ৪ জুন নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিরোধী জোটের সরকার গঠন হলেই প্রত্যক্ষ করতে পারবেন নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি, দাবি অভিষেকের। সাধারণ মানুষকে তিন বছর ধরে বঞ্চিত করে রেখে মোদির সরকার সেই টাকা কোথায় খরচ করেছে, সেই তথ্যও বিষ্ণুপুরের জনসভা থেকে সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে দেন তিনি।

বাংলার বঞ্চনার প্রতিবাদ করে আসা তৃণমূলকে দিল্লির দরবার থেকেও খালি হাতে ফিরিয়ে ছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। এরপরেও বাংলার মানুষের প্রাপ্য টাকা তৃণমূল সরকারই মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে বিষ্ণুপুরে এসে নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন তৃণমূলনেতাদের বাড়ি গাড়ি বিক্রি করে মানুষকে সেই টাকা দেবেন তিনি। অথচ বাংলার একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা ফেরৎ দেওয়া নিয়ে একটি কথা শোনা যায়নি তাঁর মুখে। এবার সেই প্রাপ্য ফেরতের দাবি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন প্রধানমন্ত্রীর তৈরি ২০ হাজার কোটির বাড়ি বিক্রি করে তিনি মানুষের টাকা ফেরৎ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর পথেই তাঁর কথা কার্যত ফিরিয়ে দেন অভিষেক। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দুদিন আগে বিষ্ণপুরে সভা করে বলেছে তৃণমূল নেতাদের ঘর বিক্রি করে আমি টাকা দেব। জানেন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি যদি বিক্রি করা হয় কত মানুষ উপকৃত হবে? আপনাদের বাড়ির জন্য রাজ্য সরকার আপনাকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে চায়। নরেন্দ্র মোদির সরকার আটকে দিয়েছে। আর দেশের প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি হচ্ছে দিল্লিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা। খরচা করছে ২০ হাজার কোটি টাকা। আগামীদিন সেটা বিক্রি করে বাংলার মানুষের হাতে ২০ লক্ষ মানুষকে আমরা টাকা তুলে দেব।”

বিষ্ণুপুরের সভা থেকে বিজেপির প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নষ্ট করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন অভিষেক। মঙ্গলবার তিনি সৌমিত্র খাঁ সহ বিজেপি সাংসদদের তোপ দেগে মানুষকে মনে করিয়ে দেন, “আপনারা বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলেন। আর টাকা মিটিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার যদি বিজেপির প্রার্থী জেতে তাহলে আগামীদিন যদি আপনার মুখ থেকে খাবার কেড়ে নিয়ে চলে যায়, তৃণমূল কিন্তু আপনাদের পাশে দাঁড়াবে না।” সেই সঙ্গে তিনি বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের এক একটি বিধানসভা ধরে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেন যেখানে বিজেপি জেতার পরেও রাজ্যের পরিষেবা থেকে কেউ বঞ্চিত হননি।

spot_img
spot_img

Related articles

চল্লিশ চাঁদের আয়ু, উৎপল সিনহার কলম

আমার কবিতা অসহায় যত পাগলি মেয়ের প্রলাপ আমার কবিতা পোড়া ইরাকের ধ্বংসে রক্তগোলাপ আমার কবিতা মেধা পাটেকর শাহবানু থেকে গঙ্গা আমার কবিতা অলক্ষ্মীদের বেঁচে...

রোমারিও শেফার্ডের ঝোড়ো ইনিংস, ধোনিদের হারাল বিরাটরা

শেষ মুহূর্তে রোমারিও শেফার্ডের(Romario Shepherd) একটা ঝোরো ইনিংস। আর সেটাই যেন কলকাতা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর(RCB) জয়ের রাস্তাটা প্রশস্ত...

যেতে পারেন: দিলীপ নিয়ে কর্মীদের ‘অস্বস্তিকর’ পোস্টে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা শমিকের

দিলীপ ঘোষের সময়েই পরিসংখ্যানে বাংলায় বিজেপি সবথেকে ভালো অবস্থানে ছিল। সেই নেতার দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে যাওয়াকে ঘিরে...

লন্ডনে অ্যাডামাস টেক কনসালট্যান্সির অফিস উদ্বোধন বাবুল সুপ্রিয়র

বিশেষ সংবাদদাতা, লন্ডন: কলকাতার বাঙালির হাতে তৈরি কলকাতার সংস্থার অফিস উদ্বোধন লন্ডনে (London)। শনিবার, অ্যাডামাস টেক কনসালট্যান্সি, ইউ...