Monday, August 25, 2025

প্রধানমন্ত্রীর ২০ হাজার কোটির বাড়ি বিক্রি করেই মানুষের টাকা শোধ: অভিষেক

Date:

তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গাড়ি বিক্রি করার হুমকি দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বিষ্ণুপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি বিক্রি করে মানুষের টাকা শোধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে রাখার ফল ৪ জুন নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিরোধী জোটের সরকার গঠন হলেই প্রত্যক্ষ করতে পারবেন নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি, দাবি অভিষেকের। সাধারণ মানুষকে তিন বছর ধরে বঞ্চিত করে রেখে মোদির সরকার সেই টাকা কোথায় খরচ করেছে, সেই তথ্যও বিষ্ণুপুরের জনসভা থেকে সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে দেন তিনি।

বাংলার বঞ্চনার প্রতিবাদ করে আসা তৃণমূলকে দিল্লির দরবার থেকেও খালি হাতে ফিরিয়ে ছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। এরপরেও বাংলার মানুষের প্রাপ্য টাকা তৃণমূল সরকারই মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে বিষ্ণুপুরে এসে নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন তৃণমূলনেতাদের বাড়ি গাড়ি বিক্রি করে মানুষকে সেই টাকা দেবেন তিনি। অথচ বাংলার একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা ফেরৎ দেওয়া নিয়ে একটি কথা শোনা যায়নি তাঁর মুখে। এবার সেই প্রাপ্য ফেরতের দাবি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন প্রধানমন্ত্রীর তৈরি ২০ হাজার কোটির বাড়ি বিক্রি করে তিনি মানুষের টাকা ফেরৎ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর পথেই তাঁর কথা কার্যত ফিরিয়ে দেন অভিষেক। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দুদিন আগে বিষ্ণপুরে সভা করে বলেছে তৃণমূল নেতাদের ঘর বিক্রি করে আমি টাকা দেব। জানেন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি যদি বিক্রি করা হয় কত মানুষ উপকৃত হবে? আপনাদের বাড়ির জন্য রাজ্য সরকার আপনাকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে চায়। নরেন্দ্র মোদির সরকার আটকে দিয়েছে। আর দেশের প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি হচ্ছে দিল্লিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা। খরচা করছে ২০ হাজার কোটি টাকা। আগামীদিন সেটা বিক্রি করে বাংলার মানুষের হাতে ২০ লক্ষ মানুষকে আমরা টাকা তুলে দেব।”

বিষ্ণুপুরের সভা থেকে বিজেপির প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নষ্ট করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন অভিষেক। মঙ্গলবার তিনি সৌমিত্র খাঁ সহ বিজেপি সাংসদদের তোপ দেগে মানুষকে মনে করিয়ে দেন, “আপনারা বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলেন। আর টাকা মিটিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার যদি বিজেপির প্রার্থী জেতে তাহলে আগামীদিন যদি আপনার মুখ থেকে খাবার কেড়ে নিয়ে চলে যায়, তৃণমূল কিন্তু আপনাদের পাশে দাঁড়াবে না।” সেই সঙ্গে তিনি বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের এক একটি বিধানসভা ধরে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেন যেখানে বিজেপি জেতার পরেও রাজ্যের পরিষেবা থেকে কেউ বঞ্চিত হননি।

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...
Exit mobile version