পূর্বসূরীদের পাপের ফল ভুগছেন সৃজন! বাম প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ যাদবপুরে!

যে যাদবপুর এক সময় লালদুর্গ ছিল, যে যাদবপুরে এক সময় সিপিএম নেতাদের কথা বাঘে-হরিণ একঘাটে জল খেতো, সেই যাদবপুরেএ এখন ফিকে লাল। এখানে সিপিএম কার্যত জীবন্ত জীবাশ্মে পরিণত হয়েছে। নতুন ব্যাটারিতেও কাজ করছে না বামেদের অকেজো মেশিন! এলাকাবাসীরা বলছেন, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। যাদবপুরে বাম জমানার সন্ত্রাসের ইতিহাস এখনও দগদগে ঘা! আর পূর্বসূরীদের পাপের ফল ভুগছেন নতুন প্রজন্মের সৃজন ভট্টাচার্যরা। ভোটের মুখে বাম প্রার্থীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ যাদবপুরে!

কয়েক ঘণ্টা আগেই সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর দমদম দাওয়াই পেয়েছেন, এবার যাদবপুরে সৃজন ভট্টাচার্য বাধা পেলেন প্রচারে। শুনলেন “গো ব্যাক” স্লোগান। যার দায় এড়াতে পারবেন না সুজনবাবুও। তাঁর বা তাঁদের অতীতের কর্মকাণ্ডের ফল ভুগতে হচ্ছে নতুন প্রজন্মের সৃজনকে।

আজ, মঙ্গলবার গড়িয়ার পঞ্চসায়রে সিপিএমের প্রার্থীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ। এদিন হুডখোলা গাড়ি চেপে প্রচারে বেরিয়েছিলেন সৃজন। সেই গাড়ির পিছনে অটো এবং বাইকে চেপে মিছিল করে আসছিলেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ, প্রচার গাড়ি পঞ্চসায়র থানা এলাকায় পৌঁছতেই সিপিএম প্রার্থীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁরা “গো ব্যাক” স্লোগান দিতে থাকেন। নতুন প্রজন্মের প্রার্থী সৃজনকে তাঁর দলের অতীতের সন্ত্রাস, অনুন্নয়নের কথা স্মরণ করিয়ে দেব বিক্ষোভকারীরা। বাম জমানায় সিপিএম কীভাবে এইসব অঞ্চলে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করে বছরের পর বছর অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছে, সেই কাহিনী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হজম করতে হয় সৃজনকে। সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলির ঘটনা আজও ভোলেনি যাদবপুরের মানুষ। তাই সিপিএমকে একটিও ভোট নয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অন্যদিকে, ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে নাকতলা বৈষ্ণবঘাটায় যাদবপুরের কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের প্রচারের ফেস্টুন ব্যানার, হোডিং খুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরা যেমন থানায় অভিযোগ করেছেন পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন এলাকার সিপিএম নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন- গরমের ছুটি শেষ, জুনের শুরুতেই খুলছে রাজ্যের সব সরকারি স্কুলÂ