বাংলাদেশের সাংসদ খুনে মাদক যোগ জোরালো, এখনও দেহাংশের খোঁজ চলছে

১৯৯৫ সালে আওয়ামী লিগে যোগ দেন তিনি। অবৈধ ব্যবসা করার জন্য সেই সময় ইন্টারপোল তার নামে লাল সতর্কতাও জারি করেছিল

১৩ মে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ আনোয়ারুল আজীম নৃশংসভাবে খুন হন। কলকাতায় তাঁর খুনের রহস্যের মোড়ক খোলা শুরু হতেই ক্রমশ প্রতিবেশী দেশের সাংসদের অন্ধকার জগতের যোগ স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। এক সময় অস্ত্র থেকে ফেনসিডিলের মতো মাদক, বিভিন্ন বেআইনি ব্যবসায় যুক্ত আনোয়ারুলের সঙ্গে এই অবৈধ ব্যবসার টাকার রফা নিয়ে সংঘাতেই খুন হতে হল কিনা সাংসদকে, সেই দিকেই তদন্তে ইঙ্গিত পাচ্ছেন সিআইডি আধিকারিকরা।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রথমে বিএনপি কর্মী হিসাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করা আনোয়ারুল বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লিগে যোগ দেন তিনি। অবৈধ ব্যবসা করার জন্য সেই সময় ইন্টারপোল তার নামে লাল সতর্কতাও জারি করেছিল। তবে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লিগে যোগ দেওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবেই তিনি ক্লিনচিট পান। তবে অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কচ্ছিন্ন হয়নি।

আনোয়ারুল আজীমের খুনের ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, বলাই বাহুল্য। কিন্তু এই খুনের নৃশংসতা এদেশের মানুষের বিশেষত সিআইডি-কে চরম ধন্দে ফেলে দিয়েছে। গ্রেফতার যুবক জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আনোয়ারুলের দেহ ৮০টি টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলা হয়। মাথা সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে এই দেহাংশ কোথায় ফেলা হয়েছে তা নিয়ে স্পষ্ট স্বীকার করেনি অপরাধীরা। শনিবার দিনভর সিআইডি-র বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায়। তবে তা থেকে সদর্থক সূত্র খুব একটা পাওয়া যায়নি। গোয়েন্দাদের অনুমান জলজ প্রাণী দেহাংশগুলি খেয়ে ফেলতে পারে।

তবে এই খুনের তদন্তে এখনও পর্যন্ত ধৃত জিহাদ ও সিয়াম এবং পাওয়া গাড়ির সূত্র ধরে মাদক পাচার ব্যবসার শত্রুতার তথ্যও উঠে আসছে। বাংলাদেশে তদন্ত চালিয়ে পাওয়া তথ্য অনুসারে এর আগেও এই সংক্রান্ত বিবাদে দুবার খুনের হুমকি পান আনোয়ারুল। এই ব্যবসায় ২০০ কোটি টাকার দুপক্ষের ঝামেলারও সূত্র পাওয়া গিয়েছে।

Previous articleপদমর্যাদা ভুলে সম্প্রদায়কে অপমান! মোদির ‘মুজরো’ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা তৃণমূলের
Next articleধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন, বিশেষ ব্যবস্থা KMC-র