ডায়মন্ড হারবারে বৈষম্যের রাজনীতি করতে দেব না: বজবজে বার্তা অভিষেকের

“আমি যতদিন আছি, ডায়মন্ড হারবারে বৈষম্যের, বিচ্ছিন্নতাবাদের রাজনীতি হতে দেব না। বিভাজনের রাজনীতি আমি করতে দেব না।” বজবজে রোড শো শেষে এই বার্তা দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ-প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। তাঁর কথায়, “আমরা কাজের নিরিখের ডায়মন্ড হারবারে কোনও ত্রুটি রাখিনি। কাজের নিরিখে ডায়মন্ডহারবার এক নম্বরই ছিল। আমি এখানে কোনদিন ভোট চাইনি ডায়মন্ড হারবারে। কারণ নিজের পরিবারের লোকেদের কাছে কেউ ভোট চায় না।” স্থানীয় সাংসদের কথায় আবেগে ভাসে বজবজ-পূজালি।

অভিষেক ব্যাখ্যা করে বলেন, পূজালি নামের মধ্যেই আছে, পূজা আর আলি। ধর্মীয় সম্প্রীতির বাংলার যে ঐতিহ্য সেটা বজায় রাখবে তৃণমূল। তিনি যতদিন আছেন, ডায়মন্ড হারবারে বিভাজনের রাজনীতি করতে দেবেন না- সাফ জানান অভিষেক।

কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক জানান, “কেন্দ্রীয় সরকার ১০ বছর ১০ পয়সা সাহায্য করেনি তবুও ডায়মন্ড হারবারে মানুষকে আমি ভাতে মারতে দিইনি। নিজের কেন্দ্রের সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগের প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, ২০১৪ সাল ৭১ হাজার ভোটে হারিয়েছিলাম যাত্রাটা সেদিনই শুরু হয়ে গিয়েছিল আত্মিক সম্পর্ক। ২০১৯ এর ৩ লাখ কুড়ি হাজারের ব্যবধানে হারিয়েছিলাম। ২০২১-এ সাতটা বিধানসভা আমাকে জব্দ করতে গিয়ে তিন দফায় ভোট করেছে। ২০১৪-তে এসেছি তৃণমূল ৭০ জিতেছে। ২০১৬ তে সাতটা বিধানসভায় জিতেছে একটা হারিয়েছি। ২০১৯ সালে বজবজ থেকে ৫৬ হাজার ভোটে হারিয়েছি। ২০২৪ আরও বেশি ভোটে হারাবো চার লক্ষ ব্যবধানে মাত্রা ঠিক করেছে বজবজকে এক লক্ষ দিতে হবে।” বার্তা তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।

বাংলায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার বিষয় নিয়ে তোপ দেগে অভিষেক বলেন,
কেন্দ্রীয় বাহিনী যত আসবে তৃণমূলের ভোট তত বাড়বে। এখন বিজেপি বলছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ করছে না ঠিকমতো। তার মানে হাওয়া ঘুরছে। যারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসায় নির্বাচনে জিতবে, ইডি- সিবিই এর ভরসায় নির্বাচন স্বপ্ন দেখেছিল তারা বলছে কেন্দ্রে বাহিনীর ভূমিকা ভালো নয়। আজকে জঙ্গলমহল মেদিনীপুর সব জায়গায় মানুষ ওদের হাঁটু ভেঙে দিয়েছে। ১ তারিখ ডায়মন্ড হারবার বুঝিয়ে দেবে মানুষের কী শক্তি!

অভিষেক জানান, রবিবার ঝড়, বৃষ্টি, দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। কোনরকম কর্মসূচি থাকলে সেগুলি বাতিল করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। রিলিফ ক্যাম্প থেকে শুরু করে মানুষের যাতে অসুবিধে না হয় তা দেখতে হবে। কোনরকম অসুবিধা হলে আমি তো এখন এখানে আছি। যত রাত হোক আমাদের প্রতিনিধিদের জানাবেন ঝড় জল বৃষ্টিতে কারো কোন অসুবিধা হলে আমাদের প্রতিনিধিরা আপনাদের পাশে দাঁড়াবে। এটা আমাদের কর্তব্য দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে।

আরও পড়ুন- ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়! এক নজরে রেমালের গতিবিধি

Previous articleক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়! এক নজরে রেমালের গতিবিধি
Next articleউন্নয়নের দাবিতে ভোট! নয়া রেকর্ডের আশায় ভূস্বর্গবাসী