মদ্যপ হয়েও নাবালক কীভাবে রক্ত পরীক্ষায় পাস, পুনে দুর্ঘটনার রহস্য ফাঁস

পুনেতে গাড়ি চাপা দিয়ে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নাবালককে পাবে মদ্যপান করতে দেখা গেলেও রক্তপরীক্ষার রিপোর্টে তাকে মদ্যপ বলেই পাওয়া যায়নি। আসলে পরীক্ষা হতে যাওয়া তার রক্তের নমুনা গিয়েছিল ডাস্টবিনে। আর সেই কাণ্ডের দুই কারিগর দুই ডাক্তারকে এবার গ্রেফতার করল পুনে পুলিশ।

পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার এর আগে বলেছিলেন, “এই মামলাটি সাধারণ কোনও দুর্ঘটনা নয়।  যেখানে অ্যালকোহলের প্রভাবে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল এবং মানুষ মারা গিয়েছিল।” পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে অভিযুক্ত কিশোরের রক্তের দুটি নমুনা বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথম রক্তের নমুনায় অ্যালকোহল ছিল না, কিন্তু দ্বিতীয়টিতে ছিল। এতে সন্দেহ জাগে এবং ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেছে যে নমুনাগুলি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে এসেছে, যার অর্থ হল নাবালকের রক্তের নমুনা অন্য ব্যক্তির সাথে পরিবর্তন করা হয়েছিল যাতে তার রিপোর্টে অ্যালকোহলের উল্লেখ না থাকে।

পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ সাসুন হাসপাতালের ডাঃ অজয় তাওয়াদে এবং ডাঃ হরি হারনরকে গ্রেপ্তার করেছে। ডাঃ তাওয়াদে পুনের রাষ্ট্রীয় হাসপাতালের ফরেনসিক ল্যাবের প্রধান। দুই চিকিৎসকের ফোন অনুসন্ধান করে জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার দিন ডঃ তাওয়াদে এবং কিশোর অভিযুক্তের বাবা ফোনে কথা বলেছেন। এরপরই দুই ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করে রক্তের নমুনা বদল নিয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত নাবালককে গ্রেফতার করে একটি হোমে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার বাবা এবং দাদু  তাকে রক্ষা করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই মামলায় এখনো পর্যন্ত নাবালকের বাবা, দাদু, দুটি পানশালার দুজন কর্মচারী এবং দুজন ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হল।

Previous articleফাইনাল ম্যাচের পর জয় শাহ’র সঙ্গে দীর্ঘ কথা গম্ভীরের, তবে কি টিম ইন্ডিয়ার কোচ পদে কলকাতার মেন্টর? জল্পনা তুঙ্গে
Next articleফাইনালে ম্যাচে সেরা হয়েও আক্ষেপ স্টার্কের, কিন্তু কেন?