“আরে হ্যাম তো ফকির আদমি হ্যায়….ঝোলা লেকে চল পরেঙ্গে জি…!” লোকসভা ভোট প্রচারে দেশজুড়ে এমন বুলি আওড়াতে আওড়াতে মানুষের সহানুভূতি কুড়াতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দলীয় সমর্থকদের হাততালি পাচ্ছেন বটে, কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা! মোদির এহেন “জুমলা”কে কটাক্ষ করতে দেরি করেনি বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। যে মানুষটি ভোটের বাজারে নিজেকে “ফকির” বা “ভিক্ষুক” বলে দাবি করেন, আসলে তাঁর লাইফস্টাইল জমিদারদের মতো, অভিযোগ তৃণমূলের। তা না হলে একজন মানুষের হোটেল খরচ কীভাবে ৮০ লক্ষ টাকা হয়, প্রশ্ন তৃণমূলের।

“Areh, hum toh fakir aadmi hain, jhola leke chal padenge ji”
‘Fakir Aadmi’ @narendramodi‘s hotel bill: Rs. 80 lakh
This is how the taxpayer’s money is being splurged on Fakir Aadmi’s flamboyant lifestyle! For shame!https://t.co/3PVINZgmHz
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) May 28, 2024
ঘটনা ঠিক কী? এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বেঙ্গালুরুর এক বিলাসবহুল হোটেলের ৮০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বিল মেটায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। ঘটনাচক্রে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আপ্যায়নের জন্যই জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (এনটিসিএ)-কে ওই বিল পাঠিয়েছিলেন কর্নাটকের মাইসুরুর সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষ। বকেয়া টাকা না পেয়ে এবার হোটেল কর্তৃপক্ষ সাফ জানায়, আগামী ১ জুনের মধ্যে বিল না পেলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবে। যদিও কর্নাটকের বন ও পরিবেশমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের নেতা ঈশ্বর খাণ্ডারে জানিয়েছে, তারা ওই হোটেলের বিল মিটিয়ে দেব।
উল্লেখ্য, গত বছর এপ্রিলে মাইসুরুতে ‘প্রজেক্ট টাইগার’ প্রকল্পের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সে সময় ওই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের কারণে কর্নাটকে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু থাকায় সে রাজ্যের সরকার আয়োজকের তালিকায় থাকতে পারেনি। এনটিসিএ এবং কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক ছিল আয়োজনে। সেখানে মোদির থাকা-খাওয়া বাবদ হোলেটের বিল হয়েছিল ৮০ লক্ষ টাকারও বেশি। সেই বিল এখনও বকেয়া!

আরও পড়ুন- গাজার শরণার্থী শিবিরে হামলা ‘মর্মান্তিক ভুল’, কী বললেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী
