নির্বাচনের শেষ দফার আগে একের পর এক ধর্মীয় নাটকীয়তার সাহায্য নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কখনও নিজেকে ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করছেন, কখনও কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকে গিয়ে ধ্যান করার ঘোষণা করছেন। তবে তাঁর নাটকীয়তা যেন কোনওভাবে নির্বাচনী আচরণ বিধি না ভাঙে, তাহলে প্রতিবাদ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নির্বাচন কমিশনকে আগাম সতর্ক করতে নির্বাচন সদনে (Nirvachan Sadan) কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল।

কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সাংভির (Abhishek Manu Singhvi) নেতৃত্বে কংগ্রেস নেতারা বুধবার নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) দফতরে যান। হেডলাইনে থাকার মোদির পরিকল্পনা নিয়ে আগাম সতর্ক করা হয় নির্বাচন কমিশনকে। সাংভি বলেন, “সাইলেন্স পিরিয়ড (silence period) ৪৮ ঘণ্টার। সেই সময় কেউ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচনী প্রচার করতে পারেন না। কোন নেতা কী করবেন তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। তাঁরা মৌনব্রত রাখবেন বা কী করবেন, তা যেন সাইলেন্স পিরিয়ডে পরোক্ষ প্রচার (indirect campaign) না হয়।”

নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর বিষয়ে কংগ্রেস জানায় মোদি ৩০ তারিখ বিকাল থেকে মৌনব্রত রাখার পরিকল্পনা নিয়েছেন। সাইলেন্স পিরিয়ড শুরু হচ্ছে ৩০ মে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১ জুন পর্যন্ত। এই সময়ে ধ্যানে বসা শুধুই নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙা নয়, নিজেকে খবরের শিরোনামে রাখার পদক্ষেপ বলে দাবি করা হয় কংগ্রেসের পক্ষে। যদি তিনি সত্য়িই আচরণবিধি ভেঙে মৌনব্রততে বসেন তবে তা যেন সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত না হয়, এই বিষয়েও সতর্ক করে কংগ্রেস।
