এবারই প্রথম ভোট দেবেন পাভলভ, লুম্বিনীর আবাসিকরা

আবাসিকদের ভোটার পরিচয়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ‌্য দফতরের সঙ্গেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অঞ্জলি।’

শেষ দফার ভোট ১ জুন। তার শেষ লগ্নে পাভলভ হাসপাতালের ধোবি ঘরে ভোট দেওয়ার জন্য স্লোগান পাল্টা স্লোগান চলল। প্রায় ২০-২২ জন আবাসিক কাজ করার পাশাপাশি স্লোগানও দিলেন। অবশ্য রাজনীতির সেই উত্তাপ নয়, সুস্থ হয়ে ওঠা এই মানসিক রোগীদের সঙ্গী শুধু ফেলে আসা জীবনের টুকরো টুকরো স্মৃতি। স্বাস্থ‌্য ভবনের প্রাথমিক তথ‌্য অনুযায়ী, এবারের লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ কেন্দ্র মিলিয়ে পাভলভ ও লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালের ৮৬ জন শনিবার প্রথমবার তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। এই দুই মানসিক হাসপাতালের আবাসিকদের ভোটের পরিচয়পত্র তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছিল অন্তত দশবছর আগে। শেষপর্যন্ত তিনবছর আগে ভোটারের সচিত্র পরিচয়পত্র বিলি করা হয়। পাভলভের ৮৫জন এবং লুম্বিনী মানসিক হাসপাতালের ৬৫ জনকে ভোটার পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। দুই হাসপাতালের সুপার পরিচয়পত্রে স্বাক্ষর করেন।

এরপরই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই আবাসিকরা দশবছর বা তার বেশি এই কেন্দ্রে বসবাস করছেন। ন‌্যাশন‌াল মেডিক‌্যাল কলেজের সেন্টার অফ এক্সলেন্স পাভলভ মানসিক হাসপাতাল। অধ‌্যক্ষ ডা.অজয় রায় জানান, প্রথম দফায় ৮৫ জনকে ভোটার পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে অনেকেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। এবার প্রথম ভোট দেবেন ২৬ জন। অন‌্যদিকে লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালের ৬৫ জন ভোট দেবেন। আবাসিকদের ভোটার পরিচয়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ‌্য দফতরের সঙ্গেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অঞ্জলি।’

সংস্থার কোঅর্ডিনেটর সত‌্যজিৎ মজুমদার বলেন, পাভলভ হাসপাতাল কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। হাসপাতালের মধ্যেই পোলিং স্টেশন হয়েছে। তাই আবাসিকদের বাইরে যেতে হবে না। তবে লুম্বিনী পার্ক কলকাতা দক্ষিণের মধ্যে পড়ে। আবাসিকদের ভোট দিতে যেতে হবে বিজয়নগর প্রাইমারি স্কুলে। বাসে করে যাবেন আবাসিকরা। এবারই প্রথম গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দেবেন তারা। ডামি ভিভি প‌্যাট দেখিয়ে ভোট দেওয়ার পদ্ধতিও দেখানো হয়েছে তাদের।





Previous article৪ জুন রাজধানীতে পরিবর্তন হচ্ছেই: শেষবেলার প্রচারে প্রত্যয়ী বার্তা অভিষেকের
Next articleভোটের মাঝেই সরকারি সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত! BSNL-MTNLএর জমি চিহ্নিত করল মোদি সরকার